আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল

ফাইনালে ঢাবি ও চবির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ 

ফাইনালে ঢাবি ও চবির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ 
ফাইনালে ঢাবি ও চবির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ   © টিডিসি ফটো

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে এ অভিযোগ করেন ম্যাচ সংশ্লিষ্টরা। ম্যাচটির ফলাফল না হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে উভয় দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও কোন দল গোল করতে পারেনি। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের পরও ম্যাচ থাকে গোলশূন্য। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও অতিরিক্ত সময়েও কোন দল গোলের দেখা পায়নি কেউ। গোলের দেখা না পাওয়া ও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করতে রেফারির টাইব্রেকারের আহ্বানে আপত্তি জানায় ঢাবি ও চবি। তারা টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির নিকট দাবি জানায় তাদের নিজেদের যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন করতে।

ফিফা'র কোনো নিয়মে টুর্নামেন্টের ফাইনালে দুই দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার কোনো নিয়ম নাই বলে জানিয়েছেন রেফারি ও আয়োজক কমিটি। রেফারি তাদের বারবার টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারণ করতে বললেও তারা আর মাঠে আসেননি। বিভিন্ন সূত্রে খবর আসে উভয় দলের অধিনায়করা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাইনালে ড্র করে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।এছাড়াও উভয় দলের বিপক্ষে ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ দায়ের করেছেন খেলা পরিচালনা কমিটি।

এই অভিযোগের ব্যাপারে ঢাবি ও চবির টিম ম্যানেজার ও কোচের সাথে কথা বললে তারা কোনো যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি।

আরও পড়ুন: পবিপ্রবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন

অবশেষে ম্যাচ রেফারিরা ও খেলা পরিচালনা কমিটি খেলার ফলাফল নির্ধারণের জন্য সন্ধ্যার পর এক জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকেও অমীমাংসিত থাকে ম্যাচের ফলাফল। 

এ বিষয়ে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু হানিফকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ম্যাচটির ফলাফল বের করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তবে তারা কোন নিয়ম বা আইনের আওতায় উভয় দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন তা বোধগম্য নয়।

ফলাফল মীমাংসার আগেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রাও অল্প সময়ের মধ্যে পবিপ্রবি ক্যাম্পাস ত্যাগ করে চলে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ