‘শিক্ষার্থীরা পাঁচদিন খুব মনোযোগ করে পড়বে’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:১৫ PM , আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৪২ PM
শিক্ষার্থীরা পাঁচদিন খুব মনোযোগ করে পড়বে তারপর তাদের দু’দিন ছুটি থাকা দরকার— পাঠ্যবইয়ের নতুন কারিকুলামের রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়া হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন মত দেওয়া হয়। তখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একদিন প্রস্তাব করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী তখন প্রাথমিকের পক্ষ নিয়ে বললেন— আমাদেরও দু’দিন লাগে। এরপর আমরা ঠিক করেছি সব শিক্ষাপ্রাতষ্ঠানেই সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন হবে।
আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী মুদ্রিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনই সাপ্তাহিক দু’দিন ছুটি আছে। মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকে কোথাও কোথাও এখন দু’দিন আছে।
আরও পড়ুন: বিইউপিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
“আমরা যখন কারিকুলামের রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম তখনই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় দুইদিন ছুটি করতে চাই। পাঁচদিন খুব মনোযোগ করে পড়বে তারপর দুইদিন ছুটি থাকা দরকার। প্রাথমিক একদিন প্রস্তাব করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী তখন প্রাথমিকের পক্ষ নিয়ে বললেন— আমাদেরও দু’দিন লাগে। আমরা ঠিক করেছি। সব শিক্ষাপ্রাতষ্ঠানেই দুদিন হবে। এখন যারা পাইলটিংয়ে যাবে তাদের দুদিন ছুটি থাকবে। আশা করি ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন থাকবে।”
আরও পড়ুন: বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলামের বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ শিখতে পারবে। সব কিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানুষ হবে, নিজেরা চিন্তা করতে শিখবে, চিন্তার জগত প্রসারিত হবে, শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা প্রয়োগ করা শিখবে, সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে, তার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।
“বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে যে গন্তব্য আমরা ঠিক করেছি, সেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে গতানুগতিক যে পড়াশোনা সেটি যথেষ্ট ছিলো না। কাজেই আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যাচ্ছি তাতে যেন সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি। আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে এবং দেশকে প্রত্যাশার সেই জায়গায় নিয়ে যাবে। সেই প্রত্যাশায় নতুন কারিকুলামের জন্য আমরা সবাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের আত্মহত্যা
অনুষ্ঠানে ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ট শ্রেণির বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর দিন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলটিং শুরু হবে মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম, এনসিটিবির সচিব নাজমা আক্তার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তারিক আহসান প্রমুখ।