নবম শ্রেণিতে পছন্দমতো বিভাগ নেয়া যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০৩:২১ PM , আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০৩:২১ PM
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। অর্জিত শিখন ফল মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে ৮ম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে অটো পাস দেয়া হবে। এসব শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।
আজ বুধবার(২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ পেয়ে থাকেন। চলতি বছর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক সুবিধা রাখা হচ্ছে। অষ্টম শ্রেণি থেকে পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী যেকোনো বিভাগ থেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও অন্য বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এবার যারা স্থানান্তরিত হয়েছে, তারা অনলাইনে যুক্ত হয়ে অথবা নিজ নিজ জায়গা থেকে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক অভিভাবক স্থানান্তরিত হয়েছেন। অনেকে ঢাকার বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী থাকলেও গ্রামে চলে গেছেন। এসব শিক্ষার্থীদের ৩০ কার্যদিবসের পাঠদান এবং অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া কেমন হবে সেটা নিয়ে চিন্তায় আছেন। আমরা তাদের বিষয়ে ভেবে রেখেছি। এসব শিক্ষার্থী সুযোগ থাকলে মূল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হবেন।’
দীপু মনি বলেন, ‘কেউ যদি তার আগের প্রতিষ্ঠান কিংবা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে না পারে তাহলে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ও তাদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারবে। কারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে একটি মেইল দেয়া থাকবে। সেখানে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া যাবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যায়নের কোন চাপ সৃষ্টি করা হবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এনসিটিবি ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। এগুলো পরবর্তী ক্লাসের জন্য কাজ করবে। সব প্রধান শিক্ষকের নিকট এটি পাঠাবো হবে। এ সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্ট পৌছে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করবে। এগুলো অনলাইনেও নেয়া যাবে। এ সময়ে অন্য কোন কার্যক্রম চলবে না। শিক্ষার্থীদের যেখানে দুর্বলতা থাকবে, সেগুলো পরবর্তী শ্রেণির ক্লাসে পূরণ করা হবে।’