বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয়

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কর্মশালায় বদলি নিয়ে তিন ধরনের প্রস্তাব করবে সংস্থাটি। কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে যে কোনো একটি পদ্ধতিতে বদলির প্রক্রিয়া চালু করা হতে পারে। তবে বদলি চালু হতে বেশ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবনা নিয়ে আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালায় বদলি নিয়ে তৈরি করা খসড়া নীতিমালা তুলে ধরা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, দ্বিতীয় কর্মশালাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই কর্মশালায় খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে। নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পর কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের মাধ্যমে বদলি করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি শেষ করতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দ্বিতীয় কর্মশালার পরই বদলির প্রক্রিয়া চালু হবে, এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। কেননা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগে কখনো বদলি প্রক্রিয়া চালু ছিল না। এটি একেবারেই নতুন একটি বিষয়। খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরও অনেক কাজ করতে হবে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘খসড়া নীতিমালায় বদলি নিয়ে সবকিছুই বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবুও এত বড় একটি কর্মযজ্ঞ শুরু করতে অনেক কাজই করতে হবে। আমাদের অনেক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কাজেই কবে বদলি চালু হবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।’ 

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-৩) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি আমাদের একটি কর্মশালা রয়েছে। বদলি কবে চালু হতে পারে তা এই কর্মশালার পর বোঝা যাবে।’ 


সর্বশেষ সংবাদ