লটারিতে এক শিক্ষার্থীর নাম ছয়বার, আলাদা জন্মনিবন্ধন নম্বর অনেকের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪২ AM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪২ AM
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির লটারির তালিকায় এক ছাত্রীর নাম ছয়বার এসেছে। আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর নামও একাধিকবার রয়েছে। কোনো কোনো শিক্ষার্থী মূল তালিকায় থাকার পাশাপাশি রয়েছে অপেক্ষমাণ তালিকায়। সোমবার সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রমের ফল প্রকাশের এমন চিত্র দেখা গেছে। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিতে এক শিক্ষার্থীর নাম ১৪ বার ও অপরজনের নাম ৫ বার এসেছে
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা হয় গত ১৫ নভেম্বর। ১৬ নভেম্বর আবেদন শুরু হয়ে ৬ ডিসেম্বর শেষ হয়। সোমবার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রভাতি পালায় ১১৭ ও দিবা পালায় ১১৯ শিক্ষার্থী এবং প্রভাতি ও দিবা উভয় পালায় ১১৯ জন করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়।
তৃতীয় শ্রেণির প্রভাতি পালায় ১১৯ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এ তালিকায় এক শিক্ষার্থীর ছয়বার নাম খুঁজে পাওয়া গেছে। ছয়টিতেই একই তথ্য রয়েছে। ৩, ৩০, ৬১, ১০১, ১০৭ নম্বরে নাম এসেছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তালিকার ১১৯ নম্বরেও এসেছে নাম। ছয়টিতে আলাদা জন্মনিবন্ধন নম্বর দেখানো হলেও ছবি ও যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বর একই।
সাধারণ কোটায় একবার ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আরেকবার ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও অপেক্ষমাণ তালিকায় আছে আরেক শিক্ষার্থীর নাম। ওই শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের দিবা পালায়ও তিনবার সুযোগ পেয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ছয়টি আলাদা জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করেছেন।
৬ ও ৭৯ নম্বর রয়েছে আরেক শিক্ষার্থীর নাম। মোবাইল ফোন নম্বর একই থাকলেও দুটি আলাদা জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। ৭০ ও ৮৪ নম্বরে অপর শিক্ষার্থী আলাদা জন্মনিবন্ধন ব্যবহার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে দুবার। এ সব বিষয়ে অভিভাবকদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: স্কুলে ভর্তির লটারি: এক ছাত্রীর নাম ১৪ বার, আরেকজনের ৫ বার
তালিকায় এক শিক্ষার্থীর একাধিকবার নাম দেখে অভিভাবকেরা বলছেন, নাম, জন্মতারিখসহ ব্যক্তিগত তথ্য এদিক-সেদিক করে অনেকে একাধিক জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে সন্তানকে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছেন অনেকে। এটা প্রতারণা। এজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহানা খান বলেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভর্তিপ্রক্রিয়া। বিদ্যালয়ের কোনো হাত নেই। এক শিক্ষার্থীর ছয়বার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি নজরে পড়েছে কর্তৃপক্ষের।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একজনের একাধিক জন্মনিবন্ধন ব্যবহার করে আবেদন করার সুযোগ নেই। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।