পিএসসির চেয়ারম্যানের নামে ভাইরাল হওয়া স্ট্যাটাসটি ভুয়া
- টিডিসি ফেক্টচেক রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯:২২ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৯:২২ PM
৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেশের আট অঞ্চলে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১ লাখ ২১ হাজার ২৬০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পিএসসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তিন লাখ ২১ হাজার ৫৭২ জন। অর্থাৎ পরীক্ষার অংশগ্রহণ করেনি ১ লাখ ২১ হাজার ২৬০ জন পরীক্ষার্থী।
এদিকে, পরীক্ষার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) থেকে পিএসসি’র চেয়ারম্যান নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, “তোমরা এতো চাপ নিও না, প্রশ্নেই উত্তর থাকে। একটু খেয়াল করে পড়লেই বুঝবা। কঠিন প্রশ্নের উত্তর অপশন ক ও ঘ তে আর সহজ প্রশ্নের উত্তর খ ও গ তে থাকবে। একটু বলে দিলাম। শুভকামনা।”
ওই আইডির প্রোফাইল পিকচারে পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের ছবি দেওয়া রয়েছে। পরে এই স্ট্যাটাসটি বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ওই আইডি ও স্ট্যাটাস দুটোই ফেক। এই বিষয়টি চেয়ারম্যানেরও নজরে এসেছে। কে বা কারা ফেক আইডি খুলে এরকম স্ট্যাটাস দিয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেছেন।
এদিকে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত “পিএসসি’র চেয়ারম্যান” নামে ফেসবুকে দুটি আইডির খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে কোন আইডি থেকে এই স্ট্যাটাসটি দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পিএসসি সূত্র।
জানা গেছে, পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের Md. Sohorab Hossain নামে একটি ফেসবুক আইডি এবং Sohorab নামে একটি পেজ রয়েছে।
মো. সোহরাব হোসাইন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ১৯৮৪ সালে তিনি সিভিল সার্ভিসের চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। এরপর গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।