শিক্ষায় ২০% বাজেট বাড়ানোসহ ১৭ দফা দাবি

গণসাক্ষরতা অভিযান
গণসাক্ষরতা অভিযান  © লোগো

নভেল করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান। 

সোমবার (৬ জুন) গণসাক্ষরতা অভিযানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সই করা স্মারকলিপি গত ৩১ মে অর্থমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষা খাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিসহ ১৭ দফা সুপারিশ করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঝরে পড়া রোধে প্রাক-প্রাথমিকসহ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক  শিক্ষায় মূলধারার শিক্ষার্থীদের মাসিক উপবৃত্তি বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ২৫০ টাকা থেকে ক্রমবর্ধমান হারে উপবৃত্তি দিতে হবে। এছাড়াও কোভিডকালে বাল্যবিবাহের কারণে যেসব মেয়ের লেখাপড়া  ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় উপবৃত্তি চালু রাখতে হবে।

স্মারকলিপিতে জানানো হয়, কোভিড মহামারির অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও এ সময় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যাপক প্রসার  ঘটেছে, শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় এসেছে দেশি-বিদেশি অনেক উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ। এসব উদ্ভাবনের সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোসহ শিক্ষার  মানোন্নয়নে আইসিটিভিত্তিক দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করার লক্ষ্যে মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’  অ্যাপ্রোচ ব্যবহারের লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্যে যথাযথ বাজেট বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।

বরাদ্দ বাড়ানোর যুক্তি উপস্থাপন করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ২০১০ সালের শিক্ষানীতির দিক নির্দেশনা অনুযায়ী, পিএসসির আলোকে আলাদা নিয়োগ কমিশন গঠন করতে হবে। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্গঠন ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চালুর জন্য নীতিমালা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষকতা পেশায় তরুণ মেধাবীরা আগ্রহী হয়।

২০২১ সালে সরকার জাতীয় শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের গতি ত্বরান্বিত করে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় পরিমার্জন, শিক্ষকের দক্ষতা বৃব্ধি  এবং সিস্টেম রিফর্মের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের  জোর দাবি জানানো হয়।

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের ‘জাতীয় স্কুল মিল পলিসি (২০১৯)’ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রাথমিক স্তরে মূলধারার সব বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু করার জন্য যথাযথ বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।

বাল্যবিবাহ নির্মূলে আইন ও বিধি সম্পর্কে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক প্রচার  প্রয়োজন। এছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।


সর্বশেষ সংবাদ