দেশের অর্থনীতির অবস্থা জানাতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে সরকার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৬ PM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৩ PM
দেশের অর্থনীতির অবস্থা জানাতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে সরকার। বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ও অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা যাচাই-বাছাই করে এটি প্রকাশ করা হবে। বুধবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে—এ লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
‘প্রিপারেশন অব আ হোয়াইট পেপার অন দ্য স্টেট অব দ্য ইকোনমি’ শিরোনামে একটি ধারণাপত্র ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার তথ্যচিত্র সমৃদ্ধ একটি শ্বেতপত্র প্রস্তুতের ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ, এসডিজি বাস্তবায়ন ও এলডিসি হতে উত্তরনে করণীয় বিষয়ে প্রতিফলন থাকবে। শ্বেতপত্রটি প্রণয়নকালে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মতবিনিময় করা হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা: গণতন্ত্রের আইকন যেভাবে একনায়ক
এর আগে ৬ আগস্ট ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে নতুন সরকারকে একটি শ্বেতপত্র প্রস্তুত করার সুপারিশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ ধরনের একটি নথি নতুন সরকারকে সাম্প্রতিক [অর্থনৈতিক] ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে, অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং কাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগে সহায়তা করতে পারে।
ড. দেবপ্রিয় সামনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় নতুন সরকার ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ কতটা করতে পারবে তা দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: কী হয়েছিল শেষ মুহূর্তে, যে পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অর্থ-পাচার ও অপরিণামদর্শী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ঋণগ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রমের কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে।
অর্থ বিভাগের সূত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পতনকালে শেখ হাসিনা সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের যে স্থিতি ছিল, তা বাংলাদেশের ৩টি বাজেটের মোট অর্থ বরাদ্দের সমান—বলা হয় বিবৃতিতে।