শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা যাচাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে মাউশি
দেশে মহামারী করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আবারো তা বাড়তে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় আগামী ৩০ মার্চ থেকে ঘোষিত সময়ে স্কুল-কলেজ খুলবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে কি হবে না- তা যাছাই করতে মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিতে শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। সারাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মাঝেও গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে
জানা গেছে, গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ কমতে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে সংক্রমণ আবারো বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার (১৫ মার্চ) এক দিনের ব্যবধানে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৭৩ জন। মারা গেছেন সর্বোচ্চ ২৬ জন। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।
আরও পড়ুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে মাউশি সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে কি হবে না- তা যাছাই করতে মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিতে শুরু করেছে মাউশি। সারাদেশে মাউশির নয়টি অঞ্চলের ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক উপপরিচালকের কাছে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের চিত্র ও মতামত গত সপ্তাহে চাওয়া হয়েছিল। সোমবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত আটটি অঞ্চলের মতামত মাউশিতে এসে পৌঁছেছে। এসব মতামতে ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই ধরনের মতামতই এসেছে।
আরও পড়ুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বর্ষপূর্তি আজ
মতামতে বেশিরভাগ উপপরিচালক তার অঞ্চলের স্কুলগুলোর চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, এ মুহূর্তে বিদ্যালয় খুলে দিলে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই কোনো সমস্যা নেই। কোনো কোনো উপপরিচালক তার অঞ্চলের ছাত্রাবাস থাকা বিদ্যালয়গুলোর চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ার মুখে এসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা আদৌ সম্ভব হবে না। কোনো ছাত্রাবাসে ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীও রয়েছে। ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ক্ষেত্রে সরকারি যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিতে হবে।
আরও পড়ুন স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বড় বিপদের আশঙ্কা স্বাস্থ্যের ডিজির
এ বিষয়ে মাউশির একজন উপপরিচালক জানান, মাঠ পর্যায়ের প্রাপ্ত মতামত তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ই নেবে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, নিশ্চিতভাবেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের হার, পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে যথাসময়ে সরকার যথা সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন পৌনে ৫ লাখ পরীক্ষার্থীর বিসিএস নিয়ে আতঙ্কে আছি: স্বাস্থ্য সচিব