প্রদর্শক নিয়োগের ফল নিয়ে যা জানালেন মাউশি ডিজি 

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান ও মাউশি লোগো
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান ও মাউশি লোগো  © ফাইল ছবি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেছেন, ‘প্রদর্শক ও ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফল খুব শিগগিরই প্রকাশিত হবে। ইতোমধ্যে কমিটির আহবায়ক নিযুক্তি পেয়েছেন।’

মাউশি জানিয়েঠেছ, ২০২০ সালের অক্টোবরে ২৮টি পদে চার হাজার ৩২ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় মাউশি। এতে আবেদন করেন ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ জন। প্রিলিমিনারি এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। অবশেষে তাদের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে।

জানা গেছে, মাউশির এই বিশাল নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধি অনুযায়ী প্রথমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওই অবস্থান থেকে সরে এসে কেবল ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয় মাউশি। এছাড়া এই নিয়োগে ‌‘প্রদর্শক’ ক্যাটাগরির দশম গ্রেডের পদগুলোকে তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে মাউশি নিজেরা নিয়োগ দেয়। যা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী। শুধু তাই নয়, মন্ত্রণালয়কে তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে নিয়োগ দিলেও দ্রুত ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে তাদের পিএসসির মাধ্যমে ক্যাডার সার্ভিসের সঙ্গে আত্তীকরণের প্রক্রিয়াও শুরু করে সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালে মাউশি কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্যতা উদঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক তৎকালীন মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে। সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। দুদক কর্মকর্তারা মাউশির কার্যালয়ে আলোচিত এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করেন।

নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় , নোট শিটে ১০ম গ্রেডের পদগুলোকে দ্বিতীয় শ্রেণি উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় । এজন্য নিয়োগ বিধি ও কমিটির কার্যবিবরণীসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরও কাগজপত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর দুদকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। তবে পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ