শূন্য পদের তথ্য ভুল দিলে যে শাস্তি পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৯৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হবে।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ১৮ মার্চ পর্যন্ত তথ্য দিতে পেরেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এরপর ২৫ মার্চ তথ্য সংশোধনের সময় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রতিবারই কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষকদের শূন্য পদের ভুল তথ্য দেন। এতে করে অনেকেই সুপারিশ পেলেও যোগদান করতে পারেন না। আবার যোগদান করলেও এমপিওভুক্ত হতে পারেন না। ভুক্তভোগীদের কথা বিবেচনা করে এবার ভুল চাহিদা দেওয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। এজন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চিঠিও পাঠাবে বলে জানা গেছে।

এনটিআরসিএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বার বার সতর্ক করার পরও তারা ভুল চাহিদা দেন। অনেক ক্ষেত্রে পদ এমপিওভুক্ত না হলেও তা এমপিও দেখিয়ে তথ্য দেন। এসব কারণে শিক্ষকরা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শিক্ষকদের হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে এবার সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, যারা ভুল চাহিদা দেবে তাদের এমপিও বাতিল এমনকি নিয়োগ বাতিল করার সুপারিশ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানো হবে না।

শূন্য পদের ভুল তথ্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, শূন্য পদের তথ্য ভুল দেওয়ার কারণে শিক্ষকদের যোগদান থেকে শুরু করে এমপিওভুক্তিতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এজন্য এবার যারা শূন্য পদের ভুল তথ্য দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাউশির ডিজি আরও বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক এবং উপপরিচালকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তারা যেন প্রতিষ্ঠানদের হুঁশিয়ারি করে দেন। এরপরও যদি শূন্য পদের তথ্য দিতে ঝামেলা করে তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

 

সর্বশেষ সংবাদ