আগুনের ঘটনায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী বন্ধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুনের ঘটনার পর আজকের দিনের মতো বন্ধ রাখা হচ্ছে গ্রন্থাগার। শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগার থেকে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিছনের গেটের পাশের কয়েকটি তার থেকে আগুন লেগে ধোঁয়া ছাড়িয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় লাইব্রেরীর কর্মীরা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে এতে পুরোপুরি সফল হননি তারা।

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। নীলক্ষেত ও গুলিস্তান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর থেকে লাইব্রেরীর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।

আগুন লাগার পরপরই সেখানে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রাশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া শাহবাগ থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌছায়।

ঘটনার সময় লাইব্রেরীতে থাকা মাস্টার্সের ছাত্র সোহরাব নাজমুল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নিচতলায় অফিস রুমের পাশে বিদ্যুতের তার থেকে আগুন লাগে। এসময় সবাই দ্রুত লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, কোন বইয়ের সেকশনে আগুন লাগলে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গ্রন্থাগারে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। আগে থেকেই কর্মকর্তাদের আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ দেয়া ছিল। যার কারণে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে কয়েক হাজার ধরণের বই রয়েছে। এছাড়া কিছু দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও ম্যাগাজিনও রয়েছে। সেখানে নিয়মিত দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ