ভাই-বোনের মত সম্পর্ক ছিল কনস্টেবল মাহমুদ ও এডিসি লাবণীর

খন্দকার লাবণী ও  তার সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান
খন্দকার লাবণী ও  তার সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান  © সংগৃহীত

অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার খন্দকার লাবণী (৪০) ও  তার সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের (২৩) সম্পর্ক ভাইবোনের মতো ছিল। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করলেও প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও পরিবার তা অস্বীকার করেছেন। 

মাহমুদুল হাসানের বোন সুমাইরা খাতুন গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ কর্মকর্তা লাবণীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভাইবোনের মতো সম্পর্ক ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আমার ভাইকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কখনো কোনো দিন কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। লাবণীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল না।

পড়ুন: ভারতে চিকিৎসারত ক্যান্সারে আক্রান্ত এডিসি লাবনীর স্বামী

মাহমুদুলের স্বজনরা বলেন, ঈদের ছুটিতে ঈদের আগের দিন বাড়িতে এসেছিল মাহমুদুল। ঈদের পরদিন সে মাগুরায় চলে যায়। পুলিশ কর্মকর্তা লাবণীর দেহরক্ষী ছিল মাহমুদুল। লাবণী কনস্টেবল মাহমুদুলকে খুব স্নেহ করতেন। তারা কেন আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না। শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল মাহমুদুল। তার মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। মাহমুদুলের বাবা এজাজুল হকও পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত। 

অন্যদিকে নিহত লাবণীর বাবা খন্দকার শফিকুল আজম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লাবণীর সঙ্গে তার স্বামীর কলহ চলে আসছিল। সংসারে আমার মেয়ে সুখী ছিল না। মূলত সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবণীর বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। 

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন কামরুল হাসান বলেন, দুটি আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা- সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনা দুটি ভিন্ন ভিন্ন বলেই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, নিহত পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাত্র দেড় মাস আগে মাহমুদুল মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন।


সর্বশেষ সংবাদ