গ্রাফিকস ডিজাইনের ছাত্র ছিলেন শুটার মাসুম

ডিবির হাতে আটক মাসুম
ডিবির হাতে আটক মাসুম  © সংগৃহীত

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া প্রীতি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল শুটারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ এ কথা জানানো হয়েছে।

অভিযুক্তের পরিচয় সম্পর্কে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, শুটার মাসুম একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিকস ডিজাইনের ওপর পড়াশোনা করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। তাঁর বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল মতিঝিল এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। অনেকগুলো বিষয় এই হত্যার পেছনে রয়েছে। তবে পূর্বপরিকল্পিত এই হত্যার ‘মোটিভ’ এখনো জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার ঘটনায় শ্যুটার গ্রেপ্তার

শুধু আর্থিক সুবিধার জন্য মাসুম এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেননি বলে দাবি করেন হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, মাসুম অপরাধজগতে জড়িয়ে একটি হত্যা মামলাসহ চার-পাঁচটি মামলার ফেরারি আসামি। এসব মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়াসহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে এই হত্যার জন্য রাজি করানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


সর্বশেষ সংবাদ