পুঠিয়ায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করল ৬৫ বছরের বৃদ্ধ

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ  © প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর পুঠিয়ায়  ৫ম শ্রেণীর এক কিশোরীকে খলিলুর রহমান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

সেই সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। 

আর এ ঘটনায় এলাকায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা-চাচাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুত্ব পাঁচজনকে পুঠিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কান্দ্রা ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বদি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত উভয়ে ভূমিহীন। তারা কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামে তৈরিকৃত সরকারি ঘরে বসবাস করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘনকুয়াশার ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঐ ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীর বাড়ি থেকে একটু দুরে টয়লেটে যায়। সেই সময় অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। 

মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটির পরিবার ও অভিযুক্ত পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে সর্বনাশ করল। সে প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত খলিলুর রহমানের লোকজন আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের মারধরে আমার স্বামী ও দেবর গুরুতর আহত হয়েছে। এখন আহত স্বামী ও দেবর পুঠিয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর মেয়েকে নিয়ে আমি রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি আছি।  

থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে৷পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। 


সর্বশেষ সংবাদ