নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর আরিফুর রহমান অপি (২৩) নামের এক কলেজছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২ জানুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া বাজার সংলগ্ন পায়রা নদীর পূর্ব পাড় পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই চর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত কলেজ ছাত্র বরিশাল সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের আলতাফ মৃধার ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাইকে ছাড়াই লাশ হয়ে ফিরল কলেজছাত্র মামুন
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে অপি রানীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান না মেলায় নিখোঁজের ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
এরপর রোববার (২ জানুয়ারী) দুপুরে পায়রা নদীর কাকড়াবুনিয়া বাজার সংলগ্ন পূর্ব পাড়ে ছোট বিঘাই চরে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: ‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই কলেজছাত্র উদ্ধার
পরে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ বিষয়টি মির্জাগঞ্জ থানাকে অবহিত করেন। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ নিখোঁজের পরিবারকে খবর দেয় এবং নিখোঁজ অপির বাবা আলতাফ মৃধা সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে আরিফুর রহমান অপির চাচাতো ভাই রাশেদুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, অপি যে সকল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছে তাদেরকে আমরা সন্দেহ করছি। তাছাড়া গত কয়েকদিন আগেই বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়া হয়েছে। সে বাড়ির ছেলেরাও সেখানে উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: যমুনা নদীতে প্রাণ গেল মেডিকেল কলেজছাত্র ফাহিমের
মামলার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রাশেদুল আরও বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি। খুব দ্রুতই নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চাই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের বের করুক।
কারণ উদঘাটনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা স্পষ্ট হবে।