৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক হলেন খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক হলেন খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।  © সংগৃহীত

কক্সবাজারে তরুণীকে ধর্ষণ ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার কথা জিজ্ঞাসাবাদে আশিক স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আশিক আরও জানিয়েছে, তার চক্রে ৩০-৩৫ জন সদস্য রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে সে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, ডাকাতি, মাদক কারবার, বিভিন্ন হোটেল ম্যানেজারদের সঙ্গে যোগসাজশে পর্যটকদের ফাঁদে ফেলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন: দুই চিকিৎসক দিয়েই চলছে যবিপ্রবির চিকিৎসাসেবা

খন্দকার আল মঈন বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যান ওই নারী। পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেপ্তার আশিক ও তার সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।

তিনি জানান, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক (২৯) স্থানীয়ভাবে 'টর্নেডো' আশিক নামে পরিচিত। ধর্ষণের ঘটনার পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ হওয়ায় আশিক দাড়ি-গোফ কেটে, ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার থেকে এসি বাসে প্রথমে ঢাকায় আসে। পরে আরেকটি বাসে মাদারীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে কুয়াকাটা যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আশিককে ধর্ষণ মামলার তদন্ত সংস্থা কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক।

আরও পড়ুন: বিদায়ী বছরে হারিয়েছি যেসব শিক্ষাবিদদের

গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আলোচিত এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আশিকুল ইসলাম এবং তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে ২৩ ডিসেম্বর রাতেই গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর রোববার (২৬ ডিসেম্বর) এই ঘটনার মূল হোতা আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা, অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ