ঢাবি শিক্ষার্থী মেঘলা হত্যা মামলায় স্বামী কারাগারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের হত্যা মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ড শেষে ইফতেখারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আদালতে বনানী থানার এসআই সালাউদ্দিন মোল্লা মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইফতেখারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বছরজুড়েই ছিল ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন, বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে ‘গুচ্ছ’
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জিল্লুর রহমান তার জামিন আবেদন করে বলেন, তিন দফায় আসামিকে সম্পূর্ণ সন্দেহের বশে একাধারে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু আসামির কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আসামিকে যে কোনো শর্তে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। যে কোনো ধরনের জামিনদারের জিম্মায় তার জামিনের প্রার্থনা করছি। আসামি পলাতক হবেন না, বরং ট্রায়াল ফেস করবেন। তাই সম্ভাব্য যে কোনো শর্তে তার জামিন চাই।
আরও পড়ুন: কাল চালু হচ্ছে ঢাকা নগর পরিবহন
বাদী পক্ষের আইনজীবী আকবর হোসেন বিরোধিতা করে বলেন, “আসামির পিতা সাবেক সেনা অফিসার, আসামির জামিন হলে তদন্ত ব্যহত হবে। তাই মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়া অবধি তাকে কারাগারে আটক রাখা হোক।”
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ইফতেখারকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন।
বনানী থানার এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২২ ও ১৯ ডিসেম্বর দুই দিন করে এবং ১৫ ডিসেম্বর ইফতেখারকে তিন দিনের জন্য রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: অ্যামাজনে চাকরি পেলেন জাবি শিক্ষার্থী মিলন
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর বিকেল রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ইলমা চৌধুরী। ইলমাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হসপিটালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।