আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের: ভারত সরকার

এই সুইসাইডের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঘটনাই সবচেয়ে বেশি
এই সুইসাইডের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঘটনাই সবচেয়ে বেশি  © প্রতীকী ছবি

গত ৭ বছরে ভারতে যত শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পড়ুয়া ছিলেন। শতাধিক ছাত্রছাত্রী এমনভাবে নিজেদের জীবন শেষ করে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। লোকসভায় তেমনটাই জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান গত সোমবার লোকসভায় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে ভারতে মোট ১২২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আর তাদের মধ্যে ১১১ জনই আইআইটি-আইআইএমের মতো নামী প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া ছিল।

এই সুইসাইডের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঘটনাই সবচেয়ে বেশি। মোট ৩৭টি সুইসাইডের ঘটনা রয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যেও তফশিলি জাতি, আদিবাসীর মতো পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই সবচেয়ে বেশি।

দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পর শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইআইটি। সেখানে গত ৭ বছরে ৩৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারাও আছে।

এনআইটিতে গত ৭ বছরে ৩০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তালিকায় রয়েছে আইআইএসও।

পরিসংখ্যান দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। পঠনপাঠনের চাপ কমাতে হবে তাদের উপর থেকে। গ্রামীণ এলাকায় প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রসারের কথাও বলেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।

তিনি জানিয়েছেন, বহু ওয়ার্কশপ, সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। কোভিডের কারণে যে ধাক্কা খেয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তাকেও মাথায় রাখা হচ্ছে।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‍্যাগিংয়ের পরিসংখ্যানও এদিন পেশ করেছে কেন্দ্র। দাবি করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা অনেক কমে গেছে। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে।

অ্যান্টি-র‍্যাগিং ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ১২টি প্রাদেশিক ভাষায় টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর, চালু আছে সবই। কোভিড আবহে অনলাইন ক্লাসের সময় র‍্যাগিংয়ের পরিমাণ আরও কমে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ