বিনামূল্যের ৫শ কেজি বই বিক্রি করে দিলেন দপ্তরি, আটক
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিনামূল্যের সরকারি বই বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. শহিদুল ইসলাম খান। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করেছেন।
পরে সরকারি বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিদ্যালয়ের দপ্তরি শহিদুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট দোকানের কর্মচারী মো. মজিদ চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে দোকানের মালিককে পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: বিনামূল্যের পাঠ্যবই বাজারে
মামলা ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. শাহিদুল ইসলাম খান ২০২১ সালের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যবই ৫০০ কেজি কালোবাজারে বিক্রি করেন। বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধলু ফকিরের হাটে মিলন হাওলাদারের দোকানে কর্মচারী মজিদ চৌকিদারের কাছে বইগুলো বিক্রি করার সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাতেনাতে ধরেন।
পড়ুন: মোবাইল গেমসের বিরুদ্ধে বই পড়া আন্দোলন
এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা করলে পুলিশ শহিদুল ইসলাম খান ও মজিদ চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান।
পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু হানিফ বলেন, আমি পটুয়াখালী আছি। বই বিক্রির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। স্কুলে ফিরে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পড়ুন: বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য ঢাবির হলগুলোতে, বাড়ছে চুরি
গলাচিপা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোনো বিদ্যালয়ে বই অতিরিক্ত থেকে গেলে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা বই বিতরণ ও সংরক্ষণ কমিটির কাছে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু তারা তা না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পড়ুন: ইবির খালেদা জিয়া হলের ৯ কক্ষে চুরি
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি পাঠ্য বই বিক্রির অভিযোগে ওই স্কুলের একজন দপ্তরিসহ তিনজনের নামে একটি মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।