১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:৪৪

সুটকেসে এডওয়ার্ড কলেজছাত্রের ১০ টুকরো লাশ

নাইমুল ইসলাম হৃদয়  © সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণের চার দিন পর এক শিক্ষার্থীর ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের চাঁদ আলী নামে এক ব্যক্তির বাড়ির মেঝেতে ১০ টুকরো লাশ সুটকেস ভরে পুঁতে রাখা হয়েছিল।

তার নাম নাইমুল ইসলাম হৃদয় (২৫)। তিনি পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। একই সঙ্গে পাকশীর রূপপুর তিন বটতলা এলাকায় তার একটি মোবাইল ফোনের দোকান ছিল। সেখান থেকে গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।

পড়ুন: প্রবাসী স্বামী ফেরার ৫ দিনের মাথায় লাশ হলেন ঢাবি ছাত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের পর সোমবার রাতে হাসান আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতু মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদসংলগ্ন চাঁদ আলীর বাড়ি থেকে ১০ টুকরো করা লাশ উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীরা ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল।

পড়ুন: লাশ কাটেন যিনি, তিনিও মানুষ

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন সকালে হৃদয়কে প্রকাশ্যে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে হৃদয়ের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার স্বজনের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পড়ুন: ঢাবি ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

হৃদয়ের বড় ভাই জীবন হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। বাবা মো. মজনু বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমাকে কল করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ অপহৃতের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অপহরণকারীরা হয়তো অপহরণের পরেই হৃদয়কে মেরে ফেলে ঘরের মেঝেতে লাশটি টুকরো টুকরো করে পুঁতে রেখেছিল। হাসান আলী নামে অপহরণ চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

অপরাধ ও শৃঙ্খলা থেকে আরও পড়ুন