ফাল্গুনী দাসকে মারধর

দুই নারী নেত্রীসহ ছাত্রলীগের পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মামলার অন্যতম দুই আসামী  বেনজীর হোসেন নিশি ও  জিয়াসমিন শান্তা
মামলার অন্যতম দুই আসামী বেনজীর হোসেন নিশি ও জিয়াসমিন শান্তা  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাসকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও হল পর্যায়ের দুই জ্যেষ্ঠ নেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শান্ত ইসলাম মল্লিক এ পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত আসামিরা হলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহ জালাল, মো. এনামুল ও শেখ তানসেন।

আরও পড়ুন: ঢাবির ছাত্রী হলে থাকতে পারেন না বিবাহিতরা

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ফাল্গুনী দাসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল জাহিদ ভূইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলার ৫ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত সংস্থা পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি জন্য আবেদন করা হয়৷ শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও পড়ুন: নেতা বানাতে কতজনের থেকে টাকা নিয়েছেন— ছাত্রলীগ নেতাকে লেখক

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মারধরের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী ফাল্গুনী দাস আদালতে পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: টাকা পরিশোধ করেও ছাত্রলীগের বাধায় সিট পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

ফাল্গুনী দাস তখন গণমাধ্যমেকে বলেছিলেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় তিনি বেনজীরের ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন। কোনো একটি মাধ্যমে সেটি জানতে পেরে ২১ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে তাঁকে ফোন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সামনে যেতে বলেন বেনজীর। সেখানে তাঁর সঙ্গে জিয়াসমিনও ছিলেন। তাঁকে নানা জিজ্ঞাসাবাদ ও মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে মারতে উদ্যত হলে তিনি সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসার চেষ্টা করেন। বেনজীর ও জিয়াসমিন তাঁকে পেছন থেকে ধাওয়া করেন। আইন অনুষদের কাছে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে তাঁরা তাঁকে ধরে ফেলেন। মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তাঁরা তাঁর মুখও খামচে দেন। রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর হাত, পা ও মাথায় আঘাত লাগে। বেনজীরের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহজালাল তাঁর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও দায়িত্বরত পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence