ব্যাংকের প্রশ্নফাঁস: আহ্সানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ কর্মচারী বহিষ্কার

আহ্সানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
আহ্সানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি  © ফাইল ফটো

৫ ব্যাংকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ১০ জন। এবার ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় আহ্সানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ৩ কর্মচারী বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মোশারফ হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

আদেশে বল হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আহ্সানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তিনজন কর্মচারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কের টেকনিশিয়ান মো. মুকতাররুজ্জান, ল্যাব সহকারী মো. পারভেজ মিয়া ও অফিস অ্যাটেডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন। নির্দেশনা জারির পরে এটি কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সামছুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কর্তপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ও প্রাথমিকভাবে তা প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি। আর চক্রে জড়িত ও গ্রেফতারকৃতদের তিনজনই সরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা।

ডিবির প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জড়িত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্সানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ পর্যন্ত চক্রটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।


সর্বশেষ সংবাদ