স্কুলশিক্ষককে মডেল মসজিদের ইমাম নিয়োগ, ইউএনওর নামে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২৯ AM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২৯ AM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারের নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ‘পেশ ইমাম’ পদে মেছবাহ উদ্দিনে নামে এমপিওভুক্ত স্কুলের একজন শিক্ষককে নিয়োগের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আর সেই মামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) মো. শফিকুল ইসলাম নামের একজন ‘পেশ ইমাম’ পদের চাকরিপ্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জজ (প্রথম) আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় প্রধান আসামি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়া পদাধিকার বলে নিয়োগ কমিটির প্রধান ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলার আউলিয়ানগর সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ, ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তালিকার ছয় নম্বরে থাকা মো. মিছবাহ উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের জন্য যেসব অভিজ্ঞতা প্রয়োজন সেগুলো মেছবাহ উদ্দিনের নেই। পাশাপাশি তিনি মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামের একটি এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষক। এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুসারে তিনি মডেল মসজিদে নিয়োগ পেতে পারেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মডেল মসজিদে পেশ ইমামসহ চারজনের নিয়োগ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পেশ ইমাম পদে ৪০ জনের আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ২৩ জুন লিখিত পরীক্ষা শেষে সাতজন উত্তীর্ণ হওয়ার কথা জানিয়ে নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফত। পরে তালিকার ছয় নম্বরে থাকা মিছবাহ উদ্দিনকে গত ১২ আগস্ট এক আদেশে নিয়োগ দেয়া হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী মো. তানবীর ভূইয়া। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আশা করি বাদী ন্যায়বিচার পাবেন।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ২৩ জুন প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণের তালিকায় মিছবাহ উদ্দিনের নাম ছয় নম্বরে থাকলেও গত ১২ আগস্ট তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের বিপরীতে চাওয়া সব ধরনের নিয়োগের যোগ্যতা ওই ব্যক্তির নেই। স্কুল চলাকালীন তার পক্ষে মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা করাও সম্ভব নয়। ফলে আইন ও নীতিগত কারণে নিয়োগটি অবৈধ।
জানতে চাইলে মামলার আসামি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া যাবে কি-না সে বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না। মামলার কপি না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তিনি এ বিষয়ে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।