মিতু হত্যা: এক নম্বর আসামি হচ্ছেন স্বামী বাবুল আক্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মে ২০২১, ১২:১৫ PM , আপডেট: ১২ মে ২০২১, ১২:১৫ PM
চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার নতুন মামলায় এক নম্বর আসামি হবেন তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। আজ বুধবার (১২ মে) সকালের ঢাকায় পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান ও পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুদার এ কথা বলেছেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুদার বলেন, পুরোনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজই আদালতে দেওয়া হবে। নতুন মামলার বাদী হতে পারেন মিতুর বাবা। আরও বলেন, খ্যাতিমান পুলিশ অফিসার ছিলেন বাবুল আক্তার। অনেক কাজ করেছেন। তার স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এটি পরিগণিত। বাবুল আক্তার বাদী হয়েছিলেন। পুরনো মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন দু'জন।
আরও পড়ুন
সিনহা হত্যা ফোকাস না করে শিপ্রা কেন চ্যানেল প্রচারে ব্যস্ত?
বনজ কুমার বলেন, মামলার বাদীকে ইচ্ছে করলেই গ্রেপ্তার করা যায় না। বাদিকে গ্রেপ্তার করতে হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। খুলশি থেকে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে আজই কোর্টে যাচ্ছে পুলিশ। এটি দাখিলের পর নতুন মামলা হবে। মোশাররফ হোসেন বাদী হতে পারেন। কথা হয়েছে তার সঙ্গে। তাকে পিবিআই চট্টগ্রাম নিয়ে গেছেন। ওই নতুন মামলায় একনম্বর আসামি হবেন বাবুল আক্তার।
পিবিআই প্রধান বলেন, ঘটনাস্থলে মুসাকে দেখা যায়। মুসা নিয়মিত বাসায় যেতেন বাবুল আক্তারের। তার অনুপস্থিতিতে মুসা বাজারও করে দিতেন। পিবিআই জানার চেষ্টা করেছে মুসা সোর্স ছিল কিনা। এটাই পিবিআই প্রমাণের চেষ্টা করেছে। মিতু হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে জঙ্গী কার্যক্রমে আহত হন বলে দাবি করেন বাবুল। মৃত্যুর পর যে আচরণ ছিল, তা ছিল সবচেয়ে আপনজন হারানোর মতো। তাই তার কথা সবাই বিশ্বাস করেছিলেন।
তিনি বলেন, পিবিআই ডেকেছিল বাবুলকে ঢাকায়। গত বৃহস্পতিবার বাবুল বলেন উনি সোমবার ৯ টায় আসবেন। বাবুল পিবিআইকে কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়গুলো আইজিপিকে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও জানানো হয়। এ অবস্থায় ব্যাক করার সুযোগ নেই বলে জানায় পিবিআই। নড়াইলে একটা লোককে আমরা পর্যবেক্ষণে নিই। তার নাম গাজী আল মামুন। অপর বন্ধু সাইফুল হককেও পিবিআই ডাকে। দু'জনই অভিযুক্ত বাবুলের বন্ধু। তারা সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে পুরনো মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।