আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা: অভিযুক্তরা আগেও একই অপরাধ করেছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ১০:১৮ AM , আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০১:০২ PM
রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের এক স্কুলছাত্রীকে র্ধষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। নিহত ওই শিক্ষার্থী মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ যে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ, তাদের বিরুদ্ধে আগেও একই ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, অভিযুক্তরা আগেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানের ডলফিন গলির একটি বাসায় নিয়ে আনুশকাহ নূর আমিন (১৮) নামে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে জানা যায়। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে এ তথ্য জানায়। তবে হাসপাতালে আসার আগেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানকে আজ আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবার গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা। কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। রক্তক্ষরণ হয়েছে, ওর হাতে দাগ আছে। আমি বিচার চাই, কেন আমার মেয়েকে এভাবে মারা হলো। আমার মেয়ের বান্ধবীর ভাই বলেছে, ওই ছেলেকে তারা চেনে। আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে, ওর আচরণ ভাল না।’
নিউমার্কেট জোনের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমকে, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ওই তরুণ দাবি করেছে, মেয়েটি তাঁর পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই বাইরে থাকায় তাকে ডলফিন গলির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণকারীর বাবা সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার। তিনি দোতলার ফ্ল্যাটটির মালিক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কিশোরীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পরে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীরের তিন বন্ধুও হাসপাতালে এসেছিল। তাদেরকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।