অভিনেত্রী ধর্ষণের দায়ে নাট্যকার গ্রেফতার

একই দলের শিল্পী তারা। একজন অভিনয় করেন, আরেকজন চিত্রনাট্য সামলান। নাটকের দলগুলোতে সবসময়ই পারস্পরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়া হয়। এখানে সবাই একটি পরিবারের মতো মেশেন ও কাজ করেন।

সেই সুন্দর সম্পর্ক আর বিশ্বাসের ওপর আঘাত আনলেন চিত্রনাট্যকার সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। কলকাতায় নাট্যব্যক্তিত্ব হিসেবে বিশেষ সুনাম রয়েছে তার। এছাড়াও এক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন। তবে সব সুনাম আজ প্রশ্নের কাঠগড়ায়। দলের এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের দায়ে তিনি এখন কারাগারে।

সম্প্রতি সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। অবশেষে সেই নাট্যকারকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে কলকাতার ফুলবাগান থানার পুলিশ। সুদীপ্তও নাকি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।

সুদীপ্তর নাটকের দল ‘স্পেকটেটরস’। গেল বুধবার রাতে দলের এক অভিনেত্রী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তরুণীর অভিযোগ, সুদীপ্তর বাড়িতে নাটকের মহড়া হতো। কিন্তু একদিন তার বাড়ি গিয়ে দেখেন নাটকের দলের অন্য কেউই সেখানে নেই। সুদীপ্তর স্ত্রীও ছিলেন না।

সেই সুযোগেই তাকে শ্লীলতাহানির পর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তরুণীর। অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় তাকে প্রথমে মানসিকভাবে দুর্বল অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর তার পরেই তাকে ধর্ষণ করেন।

প্রথমে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সুদীপ্ত। তিনি দাবি করেছিলেন, ওই ছাত্রীই তার ভুল সংশোধন করার অনুরোধ করেছিলেন এবং তার অভিনয়ে অনেক ভুল ছিল। সেই ভুল শুধরে দিতেই ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক ব্যবহার করেছিলেন বলে দাবি সুদীপ্তর। আর সেই প্রক্রিয়াতে কিঞ্চিৎ নগ্নতা ও শরীরী ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল। আর তা তরুণীর সম্মতি নিয়েই হয়েছিল বলে জানান তিনি। কোনো যৌন অভিপ্রায় ছিল না।

কিন্তু এই তরুণী একা নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিতে একাধিকা মহিলা সুদীপ্তর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। অন্য এক তরুণীও বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপ্তর নামে।

বাধ্য হয়ে শুক্রবার সুদীপ্তর বাড়িতে যায় ফুলবাগান থানার পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি অভিযোগ স্বীকার করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ