পাবনায় সজিরন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫০ PM , আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫০ PM

পাবনা সদর উপজেলার সজিরন খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া সরদারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে তাকে পাবনা সদরের মালিগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জিয়া সরদার সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের ইসাহাক সরদারের ছেলে।
নিহত সজিরন খাতুন একই উপজেলার পশ্চিম চর বলরামপুর গ্রামের মৃত হেকমত আলী প্রামাণিকের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন এবং তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ৩১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের বিআরএস ইটভাটার মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাত ১০টার দিকে পশ্চিম চর বলরামপুর এলাকায় গৃহবধূ সজিরন খাতুনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে যশোর বোর্ডে অতিরিক্ত সময় পাচ্ছে ১০৯ পরীক্ষার্থী
পরিবারের লোকজন আহত সজিরন খাতুনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সজিরন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল গফুর প্রামাণিক বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর ১। মামলায় জিয়া সরদারকে প্রধান আসামি করাসহ ২০ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার পর আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব-১২ পাবনার আভিযানিক দল। পরে র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইংয়ের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে পাবনা সদরের মালিগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তির আবেদন সময় আবারও বাড়ল
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান আরও জানান, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখান থেকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।