লামায় পাহাড় থেকে আরও ৮ তামাক চাষি-শ্রমিককে অপহরণ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ PM , আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ PM

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লেমুপালং এলাকা থেকে তামাক চাষি-শ্রমিকসহ মোট আটজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভোর রাতে লেমুপালং এলাকার তামাক চাষি আল আমিন ও ভুট্টোর খামার বাড়িতে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহৃত তামাক চাষিরা হলেন- মো. আমিন (৩৭), মো. ভুট্টু (৩১)। বাকি সাতজন শ্রমিক। তাদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১টার দিকে অস্ত্র নিয়ে বেশ কিছু লোক লেমুপালং এলাকায় আসে। পরে আমিন ও ভুট্টুর খামার বাড়িতে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে না পারলে ৮ তামাক শ্রমিকদের রে ভোর রাত ৩টার দিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা মুক্তিপণ আদায়ে তাদের ছেড়ে দিবে বলে জানিয়েছে।
ওই এলাকাটি দুর্গম ও নেটওয়ার্ক বিহীন হওয়ার কারণে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক জানাজানি হয়নি। পরে মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তিনটি খামার বাড়ি থেকে সাতজন তামাক শ্রমিককে অপহরণ করে। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে আরও সাতজনকে তুলে নেয় তারা। এর আগে, ২৭ জানুয়ারি সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মংএনু মার্মা (৩৪) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এছাড়া ১৬ ফেব্রুয়ারি লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি এলাকার ছয়টি রাবার বাগানে কর্মরত ২৬ জন শ্রমিককে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণের মাধ্যমে অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) উশৈথোয়াই মার্মা জানান, বারবার অপহরণের কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও এই এলাকায় দুই দফায় অপহরণের ঘটনা ঘটে।