ঈদের কেনাকাটা করতে এসে ‘ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী, যুবক গ্রেপ্তার
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪০ AM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪০ AM

ঈদের কেনাকাটা করতে এসে বাজারের দোকানে মোবাইল চার্জ দিতে গেলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের দোকানের পেছনের শয়নকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভিক্টিম কিশোরীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে শশীভূষন থানা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের ভাই অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পরে রবিবার দুপুরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম, দোকান মালিক মো. সুমন ও রফিকুলের সহযোগী মো. স্বাধীনসহ তিনজনকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন।
রবিবার বিকালে শশীভূষণ থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী মোতালেফ মিয়ার ছেলে ও শশীভূষণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা মিয়ার ভাই। অপর দুই আসামি সুমন ওই ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে ও স্বাধীন ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
পুলিশও ভিক্টিমের মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিক্টিম ওই কিশোরী শনিবার বিকালে ঈদের কেনাকাটা করতে শশীভূষণ বাজারে আসেন। এসময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে চার্জ চলে গেলে কিশোরী ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে মুঠোফোন চার্জ দিতে যান। এসময় ব্যবসায়ী সুমন ওই কিশোরীকে তার দোকানে পিছনের শয়নকক্ষে নিয়ে ফোন চার্জ দিতে বলেন।
কিশোরী ওইখানে বসেই তার ফোন চার্জ দিচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ও স্বাধীন নামের ওই যুবক দোকানে পিছনে যান। রফিকুল তার সঙ্গী স্বাধীনকে পাহারায় রেখে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে কিশোরীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছুটে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এসময় ব্যবসায়ী ও স্থানীয় যুবকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান মালিক সুমন ও স্বাধীন পালিয়ে যান। পরে তারা অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শশীভূষণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল বলেন, এ ঘটনায় ভিক্টিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত রফিকূল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। ভিক্টিম কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর সহযোগী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।