ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে দেখতে গিয়ে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৯ AM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ AM

নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইজিবাইক চালক আল আমিনকে হত্যার পর লাশ গুমের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আকতার জুলিয়েট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নোমানকে দেখতে তার চাচা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মনা থানায় গেলে তাকেও আটক করা হয়।
এর আগে, নোমানকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত চত্বরে জড়ো হন ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। তারা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নোমানের রিমান্ড ও বিচার দাবি করেন। একপর্যায়ে আদালত চত্বরে সোহাগ নামের এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা। এর আগে, নোমানের চাচা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানকেও আটক করা হয়। এই দুজনকেই বিএনপি দলীয় কার্যালয় ভাঙার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানকে র্যাবের সহযোগিতায় নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আল আমিন হত্যা ও গুমের মামলাসহ ৪টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। একইসঙ্গে তার চাচা মিজানুর রহমান মনাকেও আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হন আল আমিন। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ডোরোপাড়া এলাকার প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ছেলে।