শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুরের পর আদালতে ১০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা

  © সংগৃহীত

নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতের এজলাস থেকে গারদে নেওয়ার সময় ১০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালত ভবনের নিচতলার বারান্দায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর এজলাস থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গারদখানায় নেওয়া হচ্ছিল।

এর আগে আদালত চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতা-কর্মী। ইটের আঘাতে ও ধাতব কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ম্যুরালটি ভাঙচুর করা হয়। এরপরই স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনে প্রবেশ করে হামলা চালান তাঁরা।

আদালতে হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হলেন মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব হোসেন মনির (২৮), শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫), বেলাব উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক ভূঁইয়া (২৮), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), পলাশের জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), পলাশের শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), পলাশ থানা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজু মিয়া (৩১), শিবপুর থানা ছাত্রলীগের সদস্য মো. ফরহাদ আফরাদ (১৮), মনোহরদী থানা ছাত্রলীগের সদস্য মো. জাহিদ মোল্লা (২৪) এবং পলাশ থানা ছাত্রলীগের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম (২৬)।

জানা গেছে, গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে এনেছিল পুলিশ। সেদিন তাদের আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করলে আজ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। সে অনুযায়ী আজ দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ নিয়াজীর আদালতে তাদের তোলা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের এজলাস থেকে পুলিশ পাহারায় হেলমেট ও ভেস্ট পরিয়ে ১০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গারদখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনে প্রবেশ করেন। তারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দেখতে পেয়ে ছুটে যান। পুলিশের বাধার মধ্যেই একজন তরুণ (সাদা শার্ট পরিহিত) এক ছাত্রলীগ নেতাকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। পুলিশ সদস্যরা ওই তরুণকে সরিয়ে দিয়ে তাদের গারদখানার ভেতরে নিয়ে যান।

নরসিংদী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাদের আদালতের এজলাসে তোলার আগে থেকেই ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এজলাস থেকে বের হওয়ার পর তারা আসামিদের ওপর হামলার চেষ্টা চালান, তবে পুলিশের ভূমিকার কারণে পারেননি। ওপাশে যাইনি, তাই ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে কি না, জানি না।


সর্বশেষ সংবাদ