স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে হারবাল পণ্যের বিজ্ঞাপন

জব্দকৃত পণ্যের সাথে অপরাধী মিস্টার টনি ও ইয়ামিন।
জব্দকৃত পণ্যের সাথে অপরাধী মিস্টার টনি ও ইয়ামিন।  © সংগৃহীত

সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছবি, প্রোফাইল ব্যবহার করে চটকদার বিজ্ঞাপন বানিয়ে হারবাল সামগ্রী বিক্রির রমরমা বাণিজ্যে জড়িত এক ভিয়েতনামী নাগরিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতার হওয়া ভিয়েতনামী নাগরিকের নাম ট্রান-আনহ-থো ওরফে মিস্টার টনি ও অন্যজন নুরুল আমিন ওরফে ইয়ামিন।

শুক্রবার (২৪ মে) রাতে গুলশান এলাকায় ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) একটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, চারটি ল্যাপটপ ও প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চাইনিজ ও ভিয়েতনামী পণ্য জব্দ করা হয়। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি প্রধান জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। একপর্যায়ে আমরা দেখতে পাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করে হেয়ার টনিক ও হেয়ার ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

যার সূত্র ধরে গুলশান এলাকায় ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামে একটি কোম্পানির সন্ধান পায় ডিবি। কোম্পানিটি স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ দেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম-ছবি ব্যবহার করে ভিয়েতনাম ও চীন থেকে আমদানি করা নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে আসছিল।

আরও জানা যায়, মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন প্রতারণা চক্রের মূল এজেন্ট। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নাম-ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিজ্ঞাপন দেয়। এই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো আবার পরিচালনা করেন মিস্টার ডং নামে একজন ভিয়েতনামী।দেশের সাধারণ মানুষের অর্ডার ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বর থেকে কনফার্ম করে কুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হতো।

এসব নিম্নমানের পণ্য ভিয়েতনাম-চীন থেকে আনা হলেও বিপণনের বৈধতা নেই দেশে। সাধারণ মানুষকে এসব বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে সতর্ক থাকতে বলেন ডিবি প্রধান।


সর্বশেষ সংবাদ