স্ক্যাম মেসেজ: দুই উপাচার্যের নামে ভুয়া ইমেইল-চ্যাট

অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন
অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ইমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে স্ক্যাম মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। 

এদিকে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের নাম ব্যবহার করে ভুয়া গুগল চ্যাটে কোন অসাধু মহল ব্যক্তি বা মহল আইটিউনস গিফট কার্ড চেয়ে স্ক্যাম মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনি জানান, এটি এক ধরনের স্ক্যাম মেসেজ এবং এ ধরনের স্ক্যাম মেসেজ এড়িয়ে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ফেসবুকের এক পোস্টে অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন অনুরোধ করে জানান, কেউ যদি এই ধরনের মেসেজ পেয়ে থাকেন তাহলে অবিলম্বে আমাকে অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানান। এটি তার বিরুদ্ধে আরেকটি চক্রান্ত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অসাধু মহল profsadekahalim@gmail.com মেইল অ্যাড্রেস থেকে বিভিন্ন মানুষের কাছে স্ক্যাম মেসেজ পাঠাচ্ছে। মেইলটি জবি উপাচার্যের নয় এবং এর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।

তাই সবাইকে এই মেইল থেকে আসা বার্তা পরিহার করে চলা এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুক্রবার জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপাচার্যের নামে ভুয়া মেইল খুলে বিভিন্ন মানুষকে মেসেজ দেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই একটি জিডি করা হয় কোতোয়ালি থানায়। একজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জিডি করেন। পাশাপাশি ডিবির হেড অফিসে স্ক্যাম মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট পাঠানো হয়েছে যেন তারা আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ