রাবি শিক্ষিকার মেয়েকে যৌন হয়রানি, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০১ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১৭ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মেডিকেল সেন্টারের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার শিশু মেয়েকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরের তালাইমারি এলাকার আমেনা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে' একটি মামলা করেছেন ওই অধ্যাপিকা। এছাড়া এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন জানিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে দেখা করেন। তারা অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তির দাবি জানান।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মো. রাজু আহমেদ রাবি মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসক। তার বাড়ি নাটোর জেলায়।
উপাচার্য বরাবর দেওয়া লিখিত আবেদন অনুযায়ী, ওই অধ্যাপিকা সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তালাইমারী আমেনা ক্লিনিকের নীচতলায় অভিযুক্তের চেম্বারে তাঁর মেয়ের দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য যান। একপর্যায়ে তাঁর মোবাইল ফোনে কল আসলে তিনি কথা বলার জন্য ওই চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বাইরে বের হন। এমতাবস্থায় অভিযুক্ত ডাক্তার ওই মেয়ের দাঁতের চিকিৎসা করাকালে ডেন্টাল চেয়ারে শোয়া অবস্থায় মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়।
আরও পড়ুন: শপিংমলের ভাড়া কক্ষে পাঠদান করছে স্থায়ী সনদ পাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক
এতে আরও বলা হয়েছে, মেয়েটি এতে বিব্রত বোধ করলে ওই চিকিৎসক মেয়েটির কোনোরূপ কথা না শুনে মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে মেয়েটি ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে অধ্যাপিকা ভেতরে প্রবেশ করলে তাঁর মেয়েকে কান্নারত অবস্থায় পান এবং তিনি তাঁর মেয়ের মুখে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শোনেন।
অভিযোগের বিষয়ে রাজু আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ভাগনে পরিচয় দিয়ে রাসেল নামের একজন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, রাজু আহমেদ ঘুমাচ্ছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ভুক্তভোগীর শিশুর পরিবার এসে দেখা করেছেন। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া যেহেতু একটি মামলা করা হয়েছে, মামলাটি রাষ্ট্রীয় আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান থাকবে।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।