ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করা সেই শিক্ষক জামিনে মুক্ত 

অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম
অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। 

বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম। এর আগে গত মঙ্গলবার রফিকুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১ টার দিকে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে বলেন, ছাদ থেকে তার এক সহপাঠীকে ডেকে আনার জন্য। পরে সে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হলে তার পিছু নেন রফিকুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের ভবনের সিঁড়িকোঠার সামনে পৌঁছা মাত্রই রফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরে যৌন নিপীড়নসহ আপত্তিকর স্থানে হাত দেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করলে সহপাঠীদের এগিয়ে আসতে দেখে তিনি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে চলে যান। পরে ওই শিক্ষার্থীসহ তার সহপাঠীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলে। 

আরও পড়ুন: চার বছরেও শেষ হয়নি ভবনের কাজ, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

ওই ঘটনায় ৫ অক্টোবর শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

পরে গত ৮ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থীর বাবা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে জামিনে থাকা শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করেছেন। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে বর্তমানে জামিনে আছি। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, এ বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে। 

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, (বুধবার) প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। তদন্তে যৌন নিপীড়নের সত্যতা পাওয়া গেছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ