ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি হচ্ছিল জালনোট

৯০০টি ২০০ টাকার জালনোট এবং ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট মিলিয়ে দুই লাখ জাল টাকা উদ্ধার করেছে র‌্যাব
৯০০টি ২০০ টাকার জালনোট এবং ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট মিলিয়ে দুই লাখ জাল টাকা উদ্ধার করেছে র‌্যাব  © সংগৃহীত

ফটোশপ ও গ্রাফিকসের মাধ্যমে জালনোট তৈরির পর ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করার অভিযোগে ঢাকার উত্তরখান এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে ঢাকার টিকাটুলিতে র‌্যাব-৩-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার দুই লাখ টাকার জাল নোট, জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংস্থাটি বলছে, এই চক্রের প্রধান বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্য। গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহজাদা আলম (৩৩), মাহেদী হাসান (১৯) ও আবু হুরায়রা ওরফে তুষার (২২)। এই তিনজনের মধ্যে চক্রের প্রধান শাহজাদা আলম। অপর দুজন তার সহযোগী।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মাহেদী ফটোশপ এবং গ্রাফিকসের কাজ জানতেন। অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জাল নোট তৈরির কৌশল রপ্ত করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তিনজনের পরিচয় হয়। এরপর তারা জাল নোট তৈরির কাজ শুরু করেন। তারা গত ছয় মাস ধরে জাল টাকা তৈরি করছিল। এসব জাল নোট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিক্রি করতেন তারা।

সংস্থাটি আরও জানায়, জাল নোট কিনতে আগ্রহী এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করতেন শাহজাদা ও তার সহযোগীরা। পরে আগ্রহী ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করে জাল নোট দিতেন।

আরও পড়ুন: বেসরকারি মেডিকেলে কোটায় মনোনীতদের তথ্য যাচাই করবে কর্তৃপক্ষ

চক্রের প্রধান শাহজাদার পরিচয় দিয়ে র‍্যাব জানায়, তিনি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি ২০০৮ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যোগদান করেন। নৈতিক স্খলন ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ২০২০ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন।

র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক(সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জালনোটের অবাধ কারবারের তথ্য পাওয়ার পর র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতরাতে র‌্যাব-৩-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৯০০টি ২০০ টাকার জালনোট এবং ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট মিলিয়ে দুই লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ