দফায় দফায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চবি, র‍্যাব মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহযোগী হিসেবে র‌্যাব মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুর ১টা দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

এর আগে গেল রাতে খাবার হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে জেরে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হন। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত দশটার দিকে চবি ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারী মাহফুজ আল মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হোটেলে খেতে যান। এসময় বসার সিট নিয়ে সিএফসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার পর সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মাধ্যমে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় সংঘর্ষ থামলেও রাত ব্যাপী ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। 

এদিন রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুর ১টা থেকে শাহ আমানত হল ও শাহ জালাল হলের সামনে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে দুই পক্ষ। এ সময় রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এ সময় একটি বোমা বিস্ফোরিত হয় বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ উপস্থিত রয়েছে।

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত  উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ উপস্থিত আছে।

সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, ঢাকা হোটেলে দুই গ্রুপের কয়েকজন নেতা-কর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। 


সর্বশেষ সংবাদ