ইন্টার্ন চিকিৎসকের পেটে ছুরি বসিয়ে দিলেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা

ছুরিকাঘাতে আহত ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমান
ছুরিকাঘাতে আহত ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমান  © সংগৃহীত

বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে। এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা পেটে ছুরি বসিয়ে দেন বলে জানা গেছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলেজের সামনের লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার পরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। আহত ফাহিম রহমান (২৬) মেডিকেলের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ২৫তম ব্যাচের চিকিৎসক। তার বাড়ি ঢাকার সবুজবাগ এলাকার, বাবা নুর মোহাম্মদ। ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ বেপারীকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। তার ছেলে শাকিল বেপারি (২৫) ছুরিকাঘাত করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিংক রোডে ফুটপাতে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন ফরিদ বেপারী ও শাকিল। ওই ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিলেন ফাহিম। তবে খেতে ভালো না লাগায় তিনি প্যাকেট ফরিদের মাথায় মারেন। এ সময় পাশে থাকা শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করেন। পরে ফাহিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্ধুরা। ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা ফুটপাত থেকে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন: ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন নিমেষেই শেষ

শজিমেক শিক্ষার্থী ওয়াসিম বলেন, একজন বহিরাগত তুচ্ছ কারণে ছুরিকাঘাত করেছে। জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? এসব বিক্রেতা ক্যাম্পাসের ভেতরেও ব্যবসা করে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সেও বহিরাগত থাকে। সব বহিরাগতকে উচ্ছেদ করতে হবে। দ্রুত শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সারিউল ইসলাম বলেন, ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ বেপারীকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়েছে। শাকিলকে ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।


সর্বশেষ সংবাদ