কুড়িগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে নিঃস্ব দিনমজুর ৪ পরিবার
- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ PM , আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ PM

কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের সংকর মাধবপুর বিলপাড়া এলাকায় গোয়ালঘরে জ্বালানো কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে চার দিনমজুর পরিবারের ৯টি ঘর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ আসবাব, নগদ টাকাসহ খড়ের গাদা। অগ্নিদগ্ধ মারা গেছে ৫টি গরু ও ২০টি ছাগল। এতে অন্তত ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে ওই পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ দিনমজুররা হলেন, মিজানুর, কাবেল, রশিদ ও ফজল হক।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতি রাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও গরুর গোয়ালঘরের মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পরেন দিনমজুর মিজানুরের পরিবার। রাত ১১টার দিকে আগুনের শিখার তাপে ঘুম ভাঙে তাদের। তাদের চিৎকারে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ এলাকাবাসী আগুন নেভাতে ছুটে আসেন। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী ফজল হক, কাবেল ও রশিদের বসতবাড়িতে আগুন লাগে। এসময় আগুনে মিজানুরের ২টি ঘর, নগদ ৬০ হাজার টাকা পুড়ে যাওয়াসহ ১টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। কাবেলের ৩টি ঘর পুড়ে যাওয়াসহ ২টি গরু ও ১০টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। ফজল হকের ২টি ঘরসহ রশিদের ২টি ঘর ও ১০টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ছাড়া প্রত্যেকের ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ আসবাব পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর ফজল হক বলেন, ‘মিজানুর, কাবেল, রশিদসহ আমার মিলে মোট ৯টি ঘর, ২০টি ছাগলসহ অনান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়া মিজানুরের বসতবাড়ির কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হলাম।’
আরও পড়ুন: শীলাকে নিয়ে তসলিমার কটাক্ষের জবাব দিলেন আসিফ নজরুল
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর ফজল হক আরও বলেন, ‘আমরা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানালে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী উপজেলার খাজার ঘাট পর্যন্ত এসে ঘুরে যায়।’
স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মিনারা বেগম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে অবগত করেছি। পরিবারগুলো সবাই দিনমজুরের কাজ করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।’
রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী বলেন, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।