ফেনীতে এক বছরে শিশুসহ ২৭৯৫ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ফেনীতে গত এক বছরে ২০ হাজার ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৭৯৫ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৬৯ জন শিশু। 

ফেনী ব্র্যাক অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ব্র্যাকের ফেনী অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ রয়েছে এমন ২০ হাজার ৬৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং ৬ হাজার ৪৩৯ জনের এক্স-রে করানো হয়। নতুনভাবে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১,৪৬২ জন পুরুষ, ১,২৬৪ জন মহিলা এবং ৬৯ জন শিশু। এছাড়া ১১ জন ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী পাওয়া গেছে। চিকিৎসার পর পুনরায় ১৪৬ জনের মধ্যে যক্ষ্মা ধরা পড়ে, যেখানে ১০০ জন পুরুষ ও ৪৬ জন মহিলা। সংক্রমণ প্রতিরোধে আক্রান্তদের পরিবারের ১,৬৭১ সদস্যকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।

তবে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না হওয়ায় শিশুদের যক্ষ্মা মোকাবিলা এখনও চ্যালেঞ্জিং। শিশু মৃত্যু রোধে তাদের যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার আহ্বান চিকিৎসকদের। ২০২৩ সালে ২৯২৭ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪৪৪ জন, মহিলা ১৪১৪ জন ও শিশু ৬৯ জন।

ফেনী সদর উপজেলা ব্র্যাক এর প্রোগ্রামার অফিসার জাফর আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত বছর যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২০ হাজার ৬৪২ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ব্র্যাক। দেশে বিনামূল্যে দেওয়া হয় যক্ষ্মার (টিবি) চিকিৎসা। সঠিকভাবে ওষুধ সেবনে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়। সরকারের নানা উদ্যোগে গত এক দশকে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। 

চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন করে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার কমাতে সময়মতো রোগ শনাক্তের বিকল্প নেই। তাই পরিবারের একজনের যক্ষ্মা হলে সবার পরীক্ষা করা উচিত। যক্ষ্মা প্রধানত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে, তবে এটি কিডনি, মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। যখন একজন সংক্রামিত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দেয়, তখন টিবি বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি এমন এলাকায় বেশি দেখা যায় যেখানে কম বায়ুচলাচল এবং জনাকীর্ণ জীবনযাত্রার পরিবেশ রয়েছে।

এদিকে ‘প্রতিশ্রুতি, বিনিয়োগ ও সেবাদান দ্বারা, সম্ভব হবে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়া' এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ সোমবার ফেনীতে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়েছে। যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ রুবাইয়াত বিন করিম। 

তিনি বলেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা নির্ণয় ও সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ