৬ ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছাড়ল আন্দোলনকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

চাকরিতে কোটা সংস্কার

শাহবাগে কোটা সংস্কার আন্দোলন
শাহবাগে কোটা সংস্কার আন্দোলন  © সংগৃহীত

দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অবরোধের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ থাকার কারণে রাজধানীর শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে।

সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড় ছেড়ে যাওয়ার সময় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায়ে আগামী রবিবার (৭ জুলাই) দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।

কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আজ আমাদের কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। আমরা আগামীকাল শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে গণসংযোগ করবো এবং এই কর্মসূচি সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এরপর শনিবার বিকেল ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। রবিবার সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট পালন করা হবে। তবে শনিবার বিক্ষোভ মিছিলের পর পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।

জানা যায়, আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বের হন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিলটি শাহবাগে এসে থামে দুপুর ১২টার দিকে। এর পর থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে দাবির পক্ষে স্লোগান ও বক্তব্য দিতে থাকেন তাঁরা।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক থেকে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে বসে নানা স্লোগান দেন। দুপুরে বৃষ্টির মধ্যেও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। কর্মসূচিতে ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই/একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।

অবরোধ চলাকালে পাশেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছিলেন। তবে তারা শিক্ষার্থীদের বাধা দেননি। বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ সদস্যরা হেলমেট পরে প্রস্তুত হলে তাঁদের মুখোমুখি হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তবে মিনিট কয়েকের মধ্যেই পরিস্থিতি শান্ত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ