ঢাবিতে ৪৩ তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রত্যাশীদের মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৮ PM , আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৮ PM
৪৩ তম বিসিএস নন ক্যাডারের চয়েজ লিস্ট বাতিলের মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ৪৩তম বিসিএস ফলাফল প্রত্যাশীবৃন্দ। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত সকেল ৪৩ তম বিসিএসে নন ক্যাডার প্রার্থী। তাদের দাবি গত বিসিএস নন ক্যাডারদের পদসংখ্যা বিবেচনায় তাদেরকে বৈষম্যের শিকার করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে ৪৩ তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থী ফারুকুল ইসলাম বলেন, গত ৪০তম বিসিএসে নন ক্যাডারে বিভিন্ন গ্রেডে মোট পদসংখ্যা ছিল ৪৪৭৮টি, ৪১ তম বিসিএসে ৪০৫৩ টি সেখানে ৪৩ তম বিসিএসে এসে সেই পদসংখ্যা হয়েছে ১৩৪২টি। এখান থেকেই বুঝা যায় আমরা চরম বৈষম্যের শিকার।
তিনি আরও বলেন, আগে বিসিএস ক্যাডারদের রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার ছয় থেকে সাত মাস পর নন ক্যাডারদের রেজাল্ট প্রকাশিত হতো। যার ফলে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। এখন হুট করে ক্যাডার-নন ক্যাডারদের রেজাল্ট একসাথে প্রকাশ করায় নন ক্যাডারদের বড় একটা অংশ চাকরী বঞ্চিত হবে। এটা বানরের রুটি ভাগের সেই গল্পের মতই দেখায়।
মানববন্ধনে একটি লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা ৪৩তম বিসিএসে এসে বিপিএসসির পরিকল্পনার ঘাটতি অনুধাবন করছি। ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল একসাথে দেয়ার কোন বিধি না থাকা সত্ত্বেও পিএসসি ৪৩তম বিসিএসে তড়িঘড়ি করে একসাথে ফলাফল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার ফলে সময় স্বল্পতার কারণে নন ক্যাডার পদের সংখ্যা অন্যান্য বিসিএসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ৪৩তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তির সময় এই ধরনের কোন ঘোষণা না থাকার কারণে আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছি। সেখানে দীর্ঘ তিন বছর পর নন-ক্যাডার পদের এমন স্বল্পতা দেখে আমাদের উপর বিনা মেঘে বজ্রপাতের ন্যায় দেখা দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আজ দেশের যুব সমাজ তিন বছরেরও অধিক সময় ব্যাপী ধাপে ধাপে সংঘটিত প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাসহ ১৩০০/১৫০০ নম্বরের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১২ গ্রেডের চাকরিও পাচ্ছেনা। যা একাধারে মেধা ও সময়ের অপচয়। ৪৩ বিসিএস নন-ক্যাডারের ১ হাজার ৩৪২ পদের মধ্যে ৮৮৮টি পদই ৪১তম বিসিএস থেকে ফেরত আসা যেগুলি মূলত অকার্যকর টেকনিক্যাল পদ। সেই হিসেবে আমাদের জন্য নতুন পদ এসেছে মাত্র ৪৫৪টি। যা একজন নন-ক্যাডার চাকুরি প্রত্যাশী ও তার পরিবার পরিজনদের জন্য হতাশাজনক। আমরা ৪৩তম বিসিএসে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ প্রার্থী হতে ৯৮৮১ জন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের তিন ধাপের পরীক্ষা সফলতার সহিত সম্পন্ন করে আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছি। আমাদের অনেকেরই চাকুরির বয়স শেষ এবং ৪৩তম বিসিএস-ই অন্ধের যষ্টি।