প্রথম উপন্যাস ‘ভোর’ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তিতুমীর কলেজের নাঈম

 লেখক নাইম আল হাসান
লেখক নাইম আল হাসান

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য যাকে এককথায় বলা যায় প্রাণের মেলা। প্রাণের এই মেলায় প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রকাশনার ব্যানারে মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে শত শত নতুন বইয়ের। এতো বইয়ের মধ্যে পুরোনো খ্যাতি সম্মত লেখকেদের চাহিদাই বেশী। তবে তরুণ লেখকরাও পিছিয়ে নেই। তাদের কিছু বইও পাঠকদের পছন্দের তালিকায় চলে আসছে। তেমনি একটি উপন্যাসের বই ‘ভোর’। যার লেখক তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম আল হাসান। এটিই তার প্রথম প্রকাশিত বই।

মাত্র বাইশ বছর বয়সে উপন্যাস জগতে পা রাখার অনুভূতিসহ উপন্যাস ‘ভোর’ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র সাথে কথা বলেছেন তরুণ লেখক নাইম আল হাসান ৷ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো.আল আমিন মাসুদ

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নানা প্রতিকূলতার পর অবশেষে প্রকাশিত হয়ে গেল আপনার প্রথম বই, কেমন লাগছে
নাঈম আল হাসান: বই প্রকাশের আনন্দ বলতে গেলে ঈদ আসলে যেমন আনন্দ লাগে তার থেকেও বেশি লাগছে। প্রত্যেকটা লেখকের জন্যই অমর একুশে গ্রন্থমেলা এক মহা উৎসব। খুব ভালো লাগছে যা শুধু ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হচ্ছে 'ভোর', ভোর সম্পর্কে কিছু বলেন।
নাঈম: ভোর’ আমার প্রথম উপন্যাস। ভোর সোনালী ঊষার ভোর নয়। বিমল আর নিরুপমার কোল জুড়ে আসা ছোট্ট মেয়ে সন্তানটির নাম ভোর। জন্মের পরক্ষণেই মা হারা। বাবা হারা হতেও বেশিদিন লাগেনি। বাবা-মা হারা একটি মেয়ের জীবন সংগ্রাম, তার আত্মহত্যার চেষ্টা। কিন্তু মৃত্যুও তার সাথে প্রহসন করে। তাই বেঁচে থাকার তীব্র আঁকুতি। অপরদিকে, ঘটনাচক্রে একটি গ্রামকেও বাঁচানোর চেষ্টা। যজ্ঞ তৈরি, শুধু দরকার একটি সতী মেয়ের স্বেচ্ছায় আঁহুতি। এ নিয়েই লেখা উপন্যাস ভোর।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভোর পাঠকদের মধ্যে কেমন সাড়া ফেলেছে?
নাঈম: ভোর পাঠকদের মধ্যে অল্প সময়ে অনেক সারা ফেলেছে। বন্ধু থেকে শুরু করে পরিচিতদের কাছে অনেক প্রশংসাও পেয়েছি। এখন তো কোথাও গেলে পরিচিতরা আমার নামই ডাকে না। বলে ওই দেখ ‘ভোর’ যাচ্ছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভোর উপন্যাসের কোন ঘটনাটি আপনার কাছে সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে?
নাঈম: বইয়ের খারাপ দিকটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে। বাবা-মা আত্মীয়, স্বজন ছাড়া একটা মেয়েকে কতো রকম সংগ্রামের মধ্যে যেতে হয় তাই ‘ভোর’র মাধ্যমে প্রতিবাদিত হয়েছে। আর কিছু বলব না তাহলে ‘ভোর’ পড়ার আগে সব জেনে যাবেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভবিষৎতে আরো বই পাবলিশ করার ইচ্ছা আছে? বা লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষৎ পরিকল্পনা কি?
নাঈম: হ্যাঁ, ভবিষ্যতে আরও বই লেখার ইচ্ছা আছে, শুধু ইচ্ছে নয় এক প্রকার সংকল্পও তৈরি হয়ে গিয়েছে। হাতে অনেক লেখা আছে তা দিয়ে আরও বই বের করা যাবে। কিন্তু লেখনীর গুনাগুণ যাচাই করছি। আর আমার পড়াশুনা শেষ হলে পাঠকদের জন্য নতুনভাবে তৈরি হবো। মাত্র ২২ বছর বয়সেই উপন্যাস জগতে পর্দাপণ। তাই আমার উপর চাপটা একটু বেশি।

প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলার দ্বিতীয় দিনে মোড়ক উন্মোচন হয় তরুণ লেখক নাঈম আল হাসানের লেখা প্রথম উপন্যাস ‘ভোর’। বইটি বাবুই প্রকাশনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছেন মোরশেদ আলম হৃদয়। বর্তমানে বইটি অমর একুশ গ্রন্থমেলার বাবুই প্রকাশনীর ৪৬২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ