এক প্রকাশনীর মেলা যেভাবে কোটি মানুষের আবেগ

  © টিডিসি ফটো

স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে গঠিত বৃহত্তর বাংলা একাডেমির কর্মকাণ্ডের একটি প্রামাণ্য নিদর্শন অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের প্রথম দিককার বছরগুলোতে যে সাংস্কৃতিক জাগরণ পরিলক্ষিত হয় তার প্রাথমিক অভিব্যক্তি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এটি এখন গ্রন্থোৎসব। এই উৎসব এ দেশে প্রথম আয়োজিত হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৭২-এ।  ‘দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র হয়ে লিখেছেন- ফরহাদ কাদের


ফুটপাতে চটের ওপর যে মেলা শুরু হয়েছিল, সেই মেলায় আজ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শত শত বর্ণিল স্টল, দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষের ঢল এবং দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান হিসেবে এটি নিজের অবস্থান গড়ে নিয়েছে। এই মেলার একটি গৌরবময় ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো এখানে।

ইউনেস্কো ১৯৭২ সালকে আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ ঘোষণা করে। সে উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের তৎকালীন পরিচালক সরদার জয়েনউদ্দিন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজন করেন। এতে ভারত, জাপান, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশ অংশগ্রহণ করে। এই বইমেলাই ছিল নব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বইমেলা। বাংলাদেশে এই প্রথম বইমেলা আয়োজনের কৃতিত্ব সরদার জয়েনউদ্দিনের। এই বইমেলার স্লোগান ছিল : ‘সবার জন্য বই’। ১৯৭৪ সালের জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা, স্টান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী এবং বর্ণমিছিলের তাজুল ইসলাম প্রমুখ প্রকাশক তাদের বই নিয়ে একাডেমি প্রাঙ্গণের এক প্রান্তে পসরা সাজিয়ে বসেন। ওই বছর থেকে একুশ উপলক্ষে বাংলা একাডেমির নিজস্ব প্রকাশনা হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি শুরু হয়। একাডেমি ওই বছরে প্রকাশ করে লেখক পরিচিতি নামে একটি ছোট বই। পরবর্তীকালে চিত্তরঞ্জন সাহা ধীরে ধীরে বইমেলা এবং প্রকাশনা শিল্পকে একটি পেশাগত রূপ দিতে সচেষ্ট হন। তিনি নিজে জাপানে মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্প সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং তার প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হাফিজকেও জাপান থেকেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেন। ঐ সময়ে শুধু তার প্রতিষ্ঠিত ‘মুক্তধারা’ প্রকাশনা সংস্থাতেই পাণ্ডুলিপি পরীক্ষা ও সম্পাদনার ব্যবস্থা ছিল। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে পেশাগত স্তরে উন্নীত করার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন শ্রী সাহা। ১৯৮৩ সালে এসে বর্তমান বইমেলার জন্য একটি নীতিমালা ও নিয়মাবলি প্রণীত হয়। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকার ছাত্রমিছিলে ট্রাক তুলে দেওয়ায় দুজন ছাত্র নিহত হন এবং সেই বছর মেলা আর অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এই মেলার মূল স্লোগান ছিল : ‘একুশে আমাদের পরিচয়’। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে সাংস্কৃতিক জাগরণের সূচনা হয়, তার প্রথম সংহত অভিব্যক্তি অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

চিত্তরঞ্জন সাহা (১৯২৭-২০০৭)। ছবি : নাসির আলী মামুন

 

গভীরের ইতিহাস
বইমেলার স্থপতি হিসেবে সবাই এক বাক্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন সাহাকেই জানে। কিন্তু ইতিহাসের গভীর শেকড়ে প্রবেশ করলে আরও চমকপ্রদ কিছু তথ্য বের হয়ে আসবে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে বইমেলার বিস্তৃত ইতিহাস নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেন বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ওই প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশে বইমেলার ইতিহাস যেভাবে তুলে ধরেছেন তা অনেকটা এরকম-
                                                  ‘বাংলাদেশে প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে। তবে এটা ছিল বিচ্ছিন্ন আয়োজন। ১৯৭২ সালে চিত্তরঞ্জন সাহার হাতে শুরু করা বইমেলার মতো নিয়মিত ছিল না। সে সময়ে মেলার কথা মাথায় আসে সরদার জয়েনউদদীনের। তিনি ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক। এর আগে তিনি কাজ করতেন বাংলা একাডেমিতে। বাংলা একাডেমিতে সে সময় প্রচুর ইংরেজি বইয়ের সংগ্রহ ছিল। সে সময় Wonderful World of Books নামে একটি বই হাতে আসে সরদার জয়েনউদদীনের। এই বইটি পড়তে গিয়ে চমৎকার দুটি শব্দের সাথে পরিচিত হন তিনি। শব্দ দুটি হচ্ছে ‘Book’ ও ‘Fair’। আরে, আসলেই তো! বইয়েরও তো মেলা হতে পারে। জগতে কত হাবিজাবি জিনিসের মেলা হয়, সেখানে বই কী দোষ করল? তিনি বইটি পড়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বইয়ের মেলার একটি সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেলে তা একটি জাতির জন্য কতটা ইতিবাচক হতে পারে।

এই বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির নিচতলায় বইয়ের ছোটখাটো একটি মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। এই আয়োজনের বইগুলো ছিল শিশুতোষ। শিশুতোষ হবার কারণ, ওই সময়ে তিনি ইউনেস্কোর অধীনে শিশু-কিশোরদের গ্রন্থবিষয়ক একটি কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এটি ছিল ১৯৬৫ সালের ঘটনা। রেকর্ড অনুসারে এটিই বাংলাদেশে বইবিষয়ক প্রথম মেলা। আর এর মূলে ছিলেন সরদার জয়েনউদদীন।

 Wonderful World of Books-এর দুটি সংস্করণ: গুডরিডস ও আমাজন

এরপর ১৯৭০ সালে তিনি আরেকটি বইমেলার আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জে। সেখানে এই আয়োজনে সাহায্য করেছিল নারায়ণগঞ্জ ক্লাব নামে একটি সংস্থা। সেখানের মেলায় বইয়ের বেচাকেনা বেশ ভালোই হয়েছিল। ভালো বেচাকেনার পেছনে অবশ্য একটি কারণও ছিল। সরদার জয়েনউদদীন সেবার বইমেলায় একটি গরুকে বেঁধে দেন। গরুর গায়ের ওপর লিখেন ‘আমি বই পড়ি না’। গরুর গায়ের ওপর ‘বই পড়ি না’ দিয়ে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্নভাবে সকলকে এ রকম একটি বার্তা দিয়েছিলেন যে, যে সকল মানুষ বই পড়ে না তারা আদতে নিরেট গরুসদৃশ প্রাণী। এই যে তিনি একটি ডার্ক-হিউমার তৈরি করেছিলেন, তাতে লজ্জা পেয়ে অনেকেই বই কিনতে আগ্রহী হয়েছিল।

মেলার সময় ও স্থানের পরিসর
প্রথম দিকে মেলা খুব স্বল্প সময়ব্যাপী হতো। এক সপ্তাহ। ১৫ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত। এই সময়ে বাংলা একাডেমির বইগুলোর ওপর বিশেষ ছাড় থাকত। পরবর্তীতে মেলা ১ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। মোট ২১ দিন। মাঝে একসময় ২১ দিন থেকে কমিয়ে ১৪ দিনেও আনা হয়। কিন্তু প্রকাশকদের দাবির মুখে পরের বছরই সেটি ২১ দিন পর্যন্ত ব্যাপ্ত হয়। পরবর্তীতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা যখন শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়, তখন প্রকাশকদের দাবির মুখে ২১ দিন থেকে বাড়িয়ে পুরো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। সেই হিসেবে এই মেলা ২৮ দিনব্যাপী হয়। অধিবর্ষে সেটি ২৯ দিনব্যাপীও হয়।

১৯৯২ সালে এসে মেলার পরিধি, আয়োজনের ব্যাপকতা ও বৈচিত্র্য পুনরায় পরিবর্তিত হয়। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকে। ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির পাশাপাশি মাত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘মুক্তধারা’ একুশের মেলায় বই বিক্রি করে, ১৯৮০ সালের গ্রন্থমেলায় সে সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০। মাত্র পাঁচ বছর পর ১৯৮৫ সালে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮২-তে, এবং আর মাত্র ছয় বছর পর ১৯৯১ সালে এই সংখ্যাটি ১৯০-তে উন্নীত হয়।

আরও আশ্চর্যের ব্যাপার, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭০-এ। তাই বাংলা একাডেমির দেয়ালঘেরা স্বল্প-পরিসর প্রাঙ্গণে এই মেলা আর আবদ্ধ থাকল না। একাডেমির দেয়াল ভাঙা হলো, জনগণের জন্য প্রবেশদ্বার প্রসারিত হলো, আর মেলার একাংশ ছড়িয়ে পড়ল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান-সংলগ্ন রাস্তার দু’পাশে। মিলন চত্বর থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত চিহ্নিত হলো ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র প্রাঙ্গণরূপে।

বাংলা সাহিত্য সম্মেলন ১৯৭৪-এ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

১৯৯৩-এ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৩৮। ১৯৯৪ সালে ছিল ৬৫৩, ১৯৯৫ সালে ৪৬৭, ১৯৯৬ সালে ৪৮৬, ১৯৯৭ সালে ৫২০। আর ২০০৫ সালে এই মেলায় স্টলের সংখ্যা ছিল ৪৬৪টি। ২০০৬ সালে ৩১৭, ২০০৭ সালে ২৫৫, ২০০৮ সালে ২৩৬ এবং ২০০৯ সালে ৩২৬টি প্রতিষ্ঠান বইমেলায় অংশ নেয়। আর ২০১০ সালে মেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫০৫টি স্টল। ২০১৩ কিংবা ২০১৪ সালে দাবি উঠেছিল মেলার সময়ের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে যেন ২৬ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। যদিও এটি আমলে নেওয়া হয়নি।

স্থানের ইতিহাসও সময়ের ইতিহাসের মতোই ক্রমস্ফীতমান। একটা সময় ছিল মেলা সবসময় বাংলা একাডেমির ভেতরেই হতো। একদম শুরুতে স্বল্প কিছু প্রকাশক ছিল। চুন দিয়ে মাটিতে ও দেয়ালে বিভাজক তৈরি করে প্রকাশকদের স্থান আলাদা করে দেওয়া হতো। এখন সেই দিন অতীত। অনেক অনেক প্রকাশকের সমাগম হয় একুশে বইমেলায়। ২০১২ সালে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকের সংখ্যা ছিল ৪২৫। প্রচুর প্রকাশক ও প্রচুর লোক সমাগমের কারণে বাংলা একাডেমিতে স্থানের সংকুলান হচ্ছিল না। এসব দিক বিবেচনা করে ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমির অদূরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলাকে স্থানান্তরিত করা হয়। এর ফলে মেলা বেশ সম্প্রসারিত হয়।

গত বছর অর্থাৎ, ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে রেকর্ড সংখ্যক অর্থাৎ ৪১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬৭ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির দুটি প্যাভিলিয়ন ছিল। একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং অন্যটি একাডেমি প্রাঙ্গণে। এবার এক ইউনিটের ২০৩টি, দুই ইউনিটের ১৩৯টি, তিন ইউনিটের ৩৪টি এবং চার ইউনিটের ২১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুদের জন্য ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬১টি ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুকর্নারে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া এবার শিশুকর্নারকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছিল। মেলায় শিশুদের চিত্ত-বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। অন্যদিকে ১০০টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউসের দক্ষিণ পাশে লিটলম্যাগ চত্বরে স্থান বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবার লিটলম্যাগ চত্বরে স্টল পরিচালনার জন্য নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়। যে লিটলম্যাগের নাম স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকে কেবল সেই লিটলম্যাগ প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন এই শর্ত আরোপ করা হয়েছিল।

গ্রন্থপ্রেমীদের ভীড়ে ১৯৮৭ সালে বইমেলা

গ্রন্থমেলায় পুরস্কার
বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ৩টি পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ১. চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার; ২. সরদার জয়েনউদদীন স্মৃতি পুরস্কার; ৩. পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কার। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে গ্রন্থমেলার অন্যতম কাণ্ডারি চিত্তরঞ্জন সাহার নামে প্রথম পুরস্কারটি প্রবর্তন করা হয়েছে। আগের বছর প্রকাশিত সেরা মানের বইয়ের জন্য সেরা প্রকাশককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আর গ্রন্থমেলার স্টল নির্মাণ ও অঙ্গসৌষ্ঠবের জন্য সেরা স্টলকে ২ নম্বর পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। ৩ নম্বর পুরস্কারটি নির্ধারিত আছে সেরা ক্রেতার জন্য। মেলায় সর্বাধিক পরিমাণ বই কিনবে যে ব্যক্তি তাকে দেওয়া হয় পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কার।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা আজ কেবল পুস্তকমেলা নয়। এটি লেখক-পাঠক-প্রকাশক ও সর্বসাধারণের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এই মেলা এ দেশের সাংস্কৃতিক জাগরণকে দিন দিন আরও সংহত ও শাণিত করে তুলছে।


সর্বশেষ সংবাদ