ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাকৃবি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন
কোলন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ (৬৫)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রফিকুল হক।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসির ‘নির্দেশনার’ প্রতিবাদ বাকৃবি শিক্ষকদের
ড. তানভীর জানান, অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ গত সপ্তাহ থেকে কোলনের সমস্যাই ভুগছিলেন। পরে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার স্যারের অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় দুপুর দুইটায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, বাকৃবি ও বুয়েট
মৃত্যুর আগে ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ পোস্ট রিটায়ারমেন্ট লিভে (পিআরএল) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবও দায়িত্ব পালন করেছেন।
কোলন টিউমার
কোলন ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। সাধারণত পুরুষ ও কৃষ্ণাঙ্গরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স ৫০ পেরুলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া,খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
আরও পড়ুন: বাকৃবি ছাত্রলীগ: দুই বছর মেয়াদী কমিটি শেষ হয়নি ৬ বছরেও
কোলন ক্যান্সার কী?
পরিবেশ বা বংশগত প্রভাবের কারণে মলাশয়ের মিউকোসাল এপিথেলিয়ামের টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে পরিণত হলে তখন তাকে কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার বলে। এটি সাধারণত মলাশয় এবং মলদ্বারের সংযোগস্থানে হয়। সম্ভাবনার দিক দিয়ে গ্যাস্ট্রিক, খাদ্যনালী এবং কোলন ক্যান্সারের মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার বেশী দেখা যায়।