‘কৃষিবিদরা এখন রাষ্ট্র পরিচালনাতেও ভূমিকা রাখছে’

শিক্ষক মোঃ হায়দার খান সুজন
শিক্ষক মোঃ হায়দার খান সুজন  © টিডিসি ফটো

আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস। আজকের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করেন। এই কৃষিবিদ দিবসে কৃষি এবং কৃষিবিদদের নিয়ে লিখেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট এন্ড পোভার্টি স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের লেকচারার মোঃ হায়দার খান সুজন। প্রতিবেদনটি শেকৃবি প্রতিনিধির মাধ্যমে আমরা “দ্যা ডেইলি ক্যাম্পস”র পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম।

১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা, “আমি তোদের দিলাম, তোরা আমার মান রাখিস” তখন থেকে কৃষিবিদরা প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করেন। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। আবহমানকাল থেকে বাঙালির প্রাত্যহিক জীবন জীবিকার পাশাপাশি কৃষি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কৃষির উন্নয়ন মানে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন।জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমহ্রাসমান কৃষিজমি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাবসহ নানা কারণে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি আজ ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলে। কৃষি ও কৃষকের সাফল্যগাথার এ ধারা অব্যাহত রাখতে শস্যের বহুমুখীকরণ ও ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার, কৃষি আধুনিকীকরণ, প্রতিকূলতাসহিষ্ণু নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক, সম্প্রসারণবিদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর ধারাবাহিকতায় কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উন্নয়নশীল এই দেশের কৃষিবিদরা কৃষিতে আশাতীত সাফল্য অর্জন করার পাশাপাশি আজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রেও। দেশের সরকার প্রধান আজ একেকজন কৃষিবিদের উপর নিশ্চিন্তে দায়িত্বভার অর্পণ করতে পারছেন একেকটি মন্ত্রণালয়ের। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল, উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মহাপরিকল্পনা প্রনয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারও করতে পারছেন কৃষিবিদের। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধানের দায়ীত্বও পালন করছেন কৃষিবিদরা। বঙ্গবন্ধুর ক্লাস ওয়ান কৃষিবিদরা বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন ভূমিকা রাখছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন কৃষিবিদ রপ্তানিও করছে। দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কৃষি ও কৃষিবিদ কেন্দ্রিক এই সকল সফলতাই নিঃসন্দেহে ঈর্ষনীয়।

কৃষিবিদদের ক্লাস ওয়ান মর্যাদা প্রদানের ঐতিহাসিক ঘোষণার সেই দিনটিকে আজ পালন করা হচ্ছে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে। দেশের উন্নয়নে কৃষিবিদদের রাখা অবদানকে আরো গৌরবোজ্জল করতে জাতির জনকের সুযোগ্য কণ্যার প্রতি কৃষিবিদ দিবসকে জাতীয়কণের দাবি জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ