শেকৃবিতে প্রোগ্রাম আয়োজন নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আনল শিবির

ছাত্রশিবির লোগো
ছাত্রশিবির লোগো  © ফাইল ফটো

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম আয়োজনের অনুমতি পাওয়া নিয়ে বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রশিবির। ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রদলের প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ছাত্রশিবিরের প্রোগ্রামে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত সেহরি প্রোগ্রাম করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টিএসসিতে নবীন বরণ অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাওয়া চেয়েও পায়নি ছাত্রশিবির।

শাখা ছাত্রশিবিরের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের অনুমতি দেওয়া হবে 'না' বলে প্রশাসন তাদের অনুমতি দিচ্ছে না। অন্যদিকে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে অনুমতি দিচ্ছে। আমরা রাজনৈতিক সহাবস্থান চাই যেন সবাই সবার মতাদর্শ ঠিক রেখে মেধাভিত্তিক রাজনীতি করতে পারে। 

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর সর্বপ্রথম জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ব্যানারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করে। জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আলোচনা সভার পর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা অনুযায়ী একাধিক প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করেছে শাখা ছাত্রদল।

তবে শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবির কর্তৃক দুই দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব করতে গেলে বাধ সাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান শুরুর প্রথম দিনই আয়োজন শেষ করতে চাপ প্র‍্যয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরমর্শক আশাবুল হক এবং প্রক্টর মো আরফান আলী।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্র বান্ধব যে কোন ধরনের প্রোগ্রামকে সাধুবাদ জানাই। সে প্রোগাম যে কোন ব্যানারেই হোক না কেনো। আমরা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টিএসসিতে নবীন বরণ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের একটি প্রজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রোগ্রামটি করার অনুমতি দেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে প্রোগ্রামটি করেছি।

তিনি আরো বলেন, কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের বন্ধুপ্রতীম সংগঠন ছাত্রদল টিএসসিতে গণ সেহরির কর্মসূচির আয়োজন করেছে। তাদের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিন্তু টিএসসিতে প্রোগ্রাম করার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের এ দ্বিমুখী আচরণে আমরা বিব্রত।

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মো আরফান আলী বলেন, তারা টিএসসিতে প্রোগ্রাম করেছে, এখানে প্রক্টর অফিসের অনুমতির দরকার হয় না। কনফারেন্স রুম বা এই রকম কিছু হলে প্রক্টর অফিসের অনুমতির দরকার ছিলো। 

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিত থাকার বিষয়ে বলেন, তারা তাদের এপ্লিকেশনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করেছে।

ছাত্র পরামর্শক ও পরিচালক আশাবুল হক বলেন, " তারা ১৯ ব্যাচের কোন একটা প্রোগ্রামের কথা বলে অনুমতি নিয়েছিল। ছাত্রদলের বিষয়টা আমরা জানতাম না। পরে দেখি এখানে প্রোগ্রাম ছাত্রদল করছে, আমরা এটা আগে বুঝতে পারিনি। আর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম কি হচ্ছে তা দেখার জন্য। 

টিএসসি কমপ্লেক্সে প্রোগ্রামের অনুমতি ছিল কি না, এ  বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, আমি অনুমতির বিষয়ে জানি না। এগুলো জুনিয়রদের দায়িত্ব ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রোগ্রামে যেভাবে সাড়া দিয়েছে তা আমরা কল্পনাও করিনি।


সর্বশেষ সংবাদ