গতানুগতিক নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে বাকৃবি ভিসি

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বাকৃবি উপাচার্য
সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বাকৃবি উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

স্মার্ট কৃষির যুগে গতানুগতিক নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ও জিনল্যাবের সহযোগিতায় ‘ইয়ুথ সল্যুশান, নো পলউিশান’ (ইউনো) ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, দেশে বেশিরভাগ জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও নতুন নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। আমাদের গতানুগতিক এসব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। এখন আমাদের স্মার্ট কৃষির সঠিক ব্যবহারের জন্য স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট ও স্মার্ট কৃষক তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন: নাটোরে ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন চূড়ান্ত অনুমোদন

তিনি বলেন, এখন আমাদের মানসম্পন্ন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। যেখানে শুধু কৃষকের সন্তানেরাই পড়ালেখা করবে। গ্র্যাজুয়েট হয়ে তারা কৃষি সেক্টরে কাজ করবে।

বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আশির দশকে বিশেষ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সেখানে ভর্তির প্রধান শর্ত ছিলো কৃষকের সন্তান হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর খাবারের খরচসহ পড়ালেখার সম্পূর্ণ খরচ সরকার বহন করতো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শর্ত একটাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর ৮ বছর কৃষি খামারে কাজ করতে হবে। তারপর সে অন্যত্র চাকরি করতে পারবে।

পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় এর ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে আয়োজিত ‘রিডিউসিং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ইন স্টুডেন্ট ডরমেটরি’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মুস্তাফিজুর রহমান।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন

উপাচার্য আরও বলেন, বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন ও পানি আমরা পরিবেশ থেকে পাই। তাই পরিবেশ রক্ষায় যদি এখনই সোচ্চার না হই, তবে এর জন্য আমাদের বড় মাশুল দিতে হবে। প্লাস্টিক দীর্ঘদিন মাটিতে পড়ে থাকলে একসময় এর ছোট ছোট কণা আমাদের খাদ্যের মধ্যে চলে আসে, যা পরবর্তীতে নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করে। সাইনবোর্ড দিয়ে কখনও প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। উন্নত দেশে এর ব্যবহার থাকলেও নির্দিষ্ট প্রয়োগ বিধি আছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ইউনোর উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জিনল্যাবের প্রোগ্রাম লিড ইসরাত বিনতে রউফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন  ইউনো’র প্রোজেক্ট লিড ড. রিফাত আরা জান্নাত তমা।


সর্বশেষ সংবাদ