কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষদে কী পড়ানো হয়, ক্যারিয়ার কী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশে কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রয়েছে ছয়টি অনুষদ। প্রতিবছর এক হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুরা বাকৃবিতে পড়তে সুযোগ পাচ্ছেন। পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকেন।

তবে আগ্রহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ভেটেরিনারি ও কৃষি অনুষদ। এরপর পশুপালন, মাৎস্যবিজ্ঞান, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ। এছাড়া প্রত্যেক বিষয়ের যেমন সমান গুরুত্ব রয়েছে তেমনি গ্রাজুয়েটরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা কাজ করে যাচ্ছে। বাকৃবির প্রতিটি অনুষদের বিবরণ ক্যারিয়ার ও চাকরিক্ষেত্র তুলে ধরা হলো:

কৃষি অনুষদ
দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে বাকৃবিতে ১৯৬১ সালে কৃষি অনুষদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রায় ৬২ বছর ধরে দেশকে কৃষি খাতে সেবা দিয়ে যাচ্ছে মানসম্পন্ন কৃষি গ্রাজুয়েটরা। কৃষিতে ১৭টি বিভাগ রয়েছে। সেগুলো হলো- কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ, কৃষি রসায়ন বিভাগ, প্রাণী রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, ভাষা বিভাগ, এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগ, বায়োটেকনোলজিবিভাগ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ, সীড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ এবং এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগ। অনুষদ থেকে কৃষি স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে। সকল বিভাগ (ভাষা এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ বাদে) থেকে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে।

ক্যারিয়ার ও চাকরি: কৃষিতে স্নাতক শেষ করার পর নিজস্ব বিষয়সহ যেকোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। কৃষি গ্রাজুয়েটরা সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিসিএস), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটসহ (ব্রি) বিভিন্ন গবেষণা ইন্সটিটিউটগুলোতে চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিডিয়া যেমন ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও), ডিসকভারি, ন্যাশনল জিওগ্রাফি ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন সার, বীজসহ কীটনাশক কোম্পানিতেও রয়েছে চাকরি। 

ভেটেরিনারি অনুষদ
প্রাণিসম্পদে টেকসই উন্নয়ন ও অসুস্থ প্রাণীকে সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে ১৯৬১ সালে বাকৃবিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভেটেরিনারি অনুষদ। কারণ একজন দক্ষ ভেটেরিনারি চিকিৎসক পারে দেশের প্রাণিসম্পদ এবং মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়ে সমৃদ্ধশালী জাতি ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে। ভেটেরিনারি অনুষদে রয়েছে আটটি বিভাগ। সেগুলো হলো- এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগ, ফিজিওলজি বিভাগ, ফার্মাকোলজি বিভাগ, প্যারাসাইটোলজি বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ এবং সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগ। পাঁচ বছরের কোর্সটিতে ৬ মাস ইন্টার্নি করতে হয়।

ক্যারিয়ার ও চাকরি: বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) এ ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের জন্য স্পেশাল ক্যাডারসহ (ভেটেরিনারি সার্জন) অন্যান্য ক্যাডারেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই), প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (এলআরআই), গুলোতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিডিয়া যেমন ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও), এনিমেল প্লানেট, ডিসকভারি, ন্যাশনল জিওগ্রাফি ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। উদ্যোক্তা হিসেবে একজন ভেটেরিনারিয়ানের পোষা প্রাণীর হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস, ফার্ম ব্যবসা ও ল্যাবরেটরি ভ্যাকসিনে কাজ করার সুযোগও রয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কোর যার নাম রিমাউন্ট ভেটেরিনারি এন্ড ফার্ম কোর (আরভি এন্ড এফসি) যেখানে একজন ভেটেরিনারিয়ান নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ শেষে লেফটেনেন্ট হিসেবে যোগ দিতে পারবেন।

পশুপালন অনুষদ
বাংলাদেশের প্রাণিজ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে সর্বপ্রথম বাকৃবিতে পশু পালন অনুষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই অনুষদে মোট পাঁচটি বিভাগের মধ্যে রয়েছে পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগ, পশু বিজ্ঞান বিভাগ, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগ, পশুপুষ্টি ফিল্ড এবং ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগ। সাড়ে চার বছরের কোর্সটিতে ৬ মাস ইন্টার্নি করতে হয়। 

ক্যারিয়ার ও চাকরি: কৃষির বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটরা দেশের বিভিন্ন কৃষি সেক্টরগুলোতে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে। ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে দেশে ও দেশের বাইরে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উপজেলার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রাণী উন্নয়ন কর্মকর্তা, হাঁস-মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তা অথবা  ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিতে পারেন।

বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় ক্যাডারে কিউরেটর আর নন-ক্যাডারে অফিসার হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে পশু পালন গ্র্যাজুয়েটরা। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে বিভিন্ন ফার্ম ও গবেষণা কেন্দ্রেও কাজ করে থাকে।

তা ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা, সাভারের বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামার, সিলেটের ছাগল প্রজননকেন্দ্র, বাগেরহাটের মহিষ প্রজননকেন্দ্র, কক্সবাজারে হরিণ প্রজননকেন্দ্র, বিভিন্ন জেলায় বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি জায়গায় কুমির প্রজননকেন্দ্রেও পশু পালন গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি করছে।

এছাড়াও প্রাণী বিজ্ঞানী, প্রাণী আচরণ বিশেষজ্ঞ, খামার পরিচালক, পশুসম্পত্তি বা লাইভস্টক ব্যবস্থাপক, কৃষিব্যবসা পরিচালক, ভ্রণ প্রতিস্থাপক ও কৃত্রিম গর্ভ ধারণ বিশেষজ্ঞ, জীব গবেষক, নতুন জাত উপস্থাপক, ফেডারাল মিট (মাংস) পরিদর্শক, খাদ্য পরিদর্শক, ল্যাবরেটরি পরিচালক, তত্ত্ববধায়ক ও পরামর্শদাতা, মার্কেটিং ম্যানেজার, পোল্ট্রি প্রজনন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও চাকরি রয়েছে।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
বাকৃবিতে ১৯৬৪ সালে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই অনুষদ থেকে বিএসসি এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ৩ টি ডিগ্রি দেয়া হয়। চার বছরে আটটি সেমিস্টার রয়েছে। পাঁচটি বিভাগের অধীনে পড়ানো হয়।

বিভাগগুলো হলো- ফার্ম স্ট্রাকচার এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগ।  এছাড়া রয়েছে এমএস ও পিএইচডি করার সুযোগ। 

ক্যারিয়ার ও চাকরি: চাকরির ক্ষেত্র কৃষি প্রযুক্তিকরণের লক্ষ্যে বাকৃবির গ্র্যাজুয়েটরা দেশের বিভিন্ন কৃষি সেক্টরগুলোতে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিরি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এক্সটেনশন (ডিএই), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি, আরডিএ।

এছাড়া জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, মাহবুব ইঞ্জিনিয়ারিং, এসিআই, সিনজেনটা, কাজী ফার্মসসহ সকল কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি এবং ভাল রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থাকছে। একটু ভাল সিজিপিএ থাকলে খুব সহজেই ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপসহ পড়াশোনা ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও থাকছে।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
উপমহাদেশের প্রথম উচ্চতর মৎস্য শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিখ্যাত বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। ১৯৬৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। এ অনুষদেও পাঁচটি বিভাগ থেকে মাছ উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রজনন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করে। বিভাগগুলো হলো মৎস্য জীববিজ্ঞান ও জেনেটিক্স বিভাগ, অ্যাকক্যাকালচার বিভাগ, মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, মৎস্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিজ্ঞান।

ক্যারিয়ার ও চাকরি: বিসিএসে টেকনিক্যাল ও সাধারণ কোটায় আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। টেকনিক্যাল কোটায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য স¤প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেওয়ার সুযোগও আছে।

সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে কৃষিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের ভালো সুযোগ থাকছে এ অনুষদ থেকে পাস করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএফআরআই)। এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে ময়মনসিংহে স্বাদু পানি কেন্দ্র, চাঁদপুরের নদী কেন্দ্র, খুলনার লোনা পানি কেন্দ্র, বাগেরহাটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র এবং কক্সবাজারে অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেওয়া যায়। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টারে চাকরির সুযোগ থাকছে।

কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ
এ দেশ কৃষিনির্ভর হওয়ায় দারিদ্র্য দূরীকরণ ও গ্রামীণ উন্নয়নে কৃষি অর্থনীতির গুরুত্ব অনেক। এ অনুষদে পাঁচটি বিভাগ রয়েছে। সেগুলো হলো- কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগ, কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগ, কৃষিব্যবসা ও বিপণন বিভাগ এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

ক্যারিয়ার ও চাকরি: কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে পড়ে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পারেন। কৃষি অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি কর্মকমিশনের আওতাভুক্ত বিসিএসের যেকোনো সাধারণ ক্যাডারে আবেদন করতে পারেন। একই পরীক্ষার মাধ্যমে কিছুদিন আগে টেকনিক্যাল ক্যাডারে রয়েছে চাকরির সুযোগ।

এছাড়া কৃষিভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে প্রাধান্য বেশি দেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে পারেন। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, আন্তর্জাতিক ফসল গবেষণা ইন্সটিটিউট, আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নয়ন কেন্দ্রে কৃষি অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি করতে পারেন।

স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বগুড়ার পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডে এ গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ